আল ওমায়ের সাকিব / লেখক
সড়কের বড় বড় দানব (বাস,ট্রাক,ট্রলি) গুলি হিংস্র থেকে ভয়ংকর হিংস্রতায় পরিণত হচ্ছে দিনের পর দিন। আমরা শুধু দেখে যাচ্ছি সড়কে মৃত্যু মিছিল গুলো আর তাদের স্বজনদের আহাজারি! আর দুয়েকদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদমুলক স্ট্যাটাস দিচ্ছি। আফসোস কিছুতেই থামছেনা সড়কে মৃত্যু মিছিল আর কিছুতেই থামছেনা ফেসবুকে প্রতিবাদস্বরুপ স্ট্যাটাস গুলো! কীভাবে থামবে…দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণের খবর শুনলে সবার খারাপ লাগে। কিন্তু যখন এই দুর্ঘটনা নিজের আত্মীয়, স্বজন, বন্ধুদের সাথে ঘটে তখন এর কষ্ট আরও তীব্র হয়ে উঠে।যেমনটি এখন আমার হচ্ছে। আমার বন্ধু মিশকাত প্রাণ হারিয়েছে সড়কে। খুব কষ্ট লাগছে আমাদের, পুরো শোকের মাতম চলছে আমাদের বন্ধু মহলে।
শুধু কি মিশকাত আর রিকুতে থেমে গিয়েছিল দানবেরা? না ওরা থামেনি, ওরা সারাদেশে আরও ৭টি তাজা প্রাণ নিয়েছিল তার পরেরদিনও। এভাবে প্রতিদিন টিভিতে, পেপারে দেখে যাচ্ছি একের পর এক মৃত্যু মিছিলের খবর। আর এদিকে যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যানে লাশের সংখ্যা বাড়ছে দিনের পর দিন। এভাবে বাড়তে থাকবে পরিসংখ্যানে লাশের সংখ্যা, আর বাড়তে থাকবে স্বজনদের আহাজারি!কিছুই করার নাই আমাদের, আমরা শুধু এভাবে কষ্টগুলো আমাদের ফেসবুকের ওয়ালে লিখে যাবো আর আহাজারি গুলো দেখবো, লাশের পরিসংখ্যান দেখবো, চোখের কোণে জমে থাকা পানি মুছে আবার মিথ্যা হাসিতে হাসবো।তাও সবশেষে মনকে শান্তনা দিয়ে বলবো নিরাপদ সড়ক চাই! সড়কে মৃত্যু মিছিলের সমাপ্তি চাই!