আরিফুল ইসলাম সুমন, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে ।
আসন্ন সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে যেই ভোটাভুটি হয়েছে, এতে ছিল নীল নকশা। তাছাড়া এই ভোটাভুটিতে রয়েছে যথেষ্ট অস্বচ্ছতা। ভোটের চারদিন পর অনানুষ্ঠানিকভাবে একটি মহল মনগড়া ফলাফল প্রকাশ করে তিনজন প্রার্থীর নাম বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ করিয়েছে। এই লুকোচুরি ভোটাভুটি উপজেলার জনগণ প্রত্যাখান করেছে, কোনো অবস্থাতেই এই ফলাফল মানবো না।বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারী) বিকেলে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে সরাইল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শের আলম মিয়া এসব অভিযোগ করেন।
উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থী শের আলম মিয়া আরো বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির এক অসাধু প্রভাবশালী নেতার ষড়যন্ত্রে আগাম ঘোষণা ছাড়াই কয়েকদিন আগে এখানে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের ভোটের আয়োজন করা হয়। একেক ভোটার তাদের পছন্দের তিনজন প্রার্থীকে ভোট দেন। অন্তত পঁচিশজন ভোটার আমাকে ভোট দিয়েছেন বলে তারা নিশ্চিত করেছেন। অথচ ভোটের চারদিন পর জানতে পারি সেই চূড়ান্ত বাছাই তালিকায় আমার নাম নেই। বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেয়া যাচ্ছে না। যেই তিনজনকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে
চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে বাছাই তালিকায় দেখিয়েছে, তারা এখন নানা কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দলীয় কোনো কর্মকান্ডেও তাদের সম্পৃক্ততা নেই। যুবলীগ নেতা শের আলম মিয়া দাবি করেন, উপজেলা পরিষদে বর্তমানে আমিই একমাত্র আওয়ামী লীগের দলীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তাছাড়া এখানে দলীয় কর্মকান্ডে সকল কিছুতেই আমার সম্পৃক্ততা আছে। আমি আশা করি চেয়ারম্যান পদে দল শেষপর্যন্ত আমাকেই মনোনয়ন দিবে।