
নিজস্ব প্রতিবেদন অজানা বাংলাদেশ
গতকাল (২৪ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তরজাতিক বিমান বন্দরে বিমান ছিনতাই করতে গিয়ে যে যুবক কমান্ডো অভিযানে নিহত হয়েছেন তার পরিচয় জানা গেছে। ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় জানা গেছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব। র্যাবের ক্রিমিনাল ডাটাবেজ অনুযায়ী অস্ত্রধারী ওই যুবকের নাম মোহাম্মদ পলাশ আহমেদ। তার পিতার নাম পিয়ার জাহান সরদার।
র্যাবের দেওয়া ওই তথ্য অনুয়ায়ী, পলাশের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার দুধঘাটা গ্রামে। তার বাড়ি ওই বিমানের ১৭/এ নম্বর আসনের যাত্রী ছিলেন মোহাম্মদ পলাশ আহমেদ।র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, নিহত ওই যুবক ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানে করে চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য। চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ বিমানটির।যাত্রী এর লিস্টে ওই যাত্রীর নাম ছিল AHMED/MD POLASH, সিট নম্বর 17A।
তবে ঠিক কী ধরনের অপরাধের জন্য পলাশ আহমেদের নাম র্যাবের ক্রিমিনাল ডেটাবেইজে যুক্ত করা হয়েছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি এ বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক।এদিকে, পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল কান্তি বড়ুয়া জানান, লাশ এখনও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়না তদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। এখনও পরিবারের কেউ আসেনি। স্বজনরা কেউ এলে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় সিভিল অ্যাভিয়েশন কতৃপক্ষ মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে শাহ আমানত বিমানবন্দরে। ফ্লাইটের যাত্রীরা সবাই বেরিয়ে এলেও দু’জন কেবিন ক্রু ভেতরে আটকা পড়েন। এসময় বিমান ঘিরে রাখা পুলিশ, র্যাব, এপিবিএনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে সন্ধ্যা ৬ ২০ মিঃ টার দিকে ১ প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন আসেন বিএনএস ইশা খাঁ থেকে। তারা সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন। কমান্ডোরা দ্রুততম সময়ে বিমান বন্দরে এসে পৌছালে সফল ভাবে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইয়ের দুর্ঘটনাকে অবসান ঘটান। এসময় বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী যুবক পলাশ কমান্ডোদের গুলিতে মারা যান তার লাশ এখনো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে তার সজ্নরা কিউ এখনো তার লাশ নিতে আসেনি