১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর আচমকা আক্রমনে আওয়ামীলীগ নেতা মরহুম আকতারুজ্জামান চৌধুরীর ছোট ভাই বশরুজ্জামান চৌধুরী, দীপক বড়–য়া, জাফর আহমদ, মাহাবুবুল আলম চৌধুরী ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। বলতে গেলে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে এই চারজনেই মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে প্রথম সারির শহীদ। এই দিবসটিতে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে চেরগী পাহাড় স্মৃতিস্তম্বে পুষ্পস্তব অর্পন করেন চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড ও শহীদ বশরুজ্জামান, দীপক, জাফর, মাহাবুব স্মৃতি সংসদ। পুষ্পস্তবক
অর্পন করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার অনেক পরে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সারির শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় একটি স্মৃতি ফলক স্থাপন করা হলেও মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন স্থান, স্টেশন রোডস্থ তৎকালীন রেষ্টহাউজ সংলগ্ন স্থানে গন কবরে এদের সমাহীত করা হলেও চিহিৃত করে এখনো পর্যন্ত কোন স্মৃতি স্তম্ব্য তৈরি না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর পক্ষ থেকে আমরা দাবি উত্থাপন করেছি। ইতিহাসের সবচেয়ে সংগঠিত নির্মম গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সহ গন কবরগুলোকে চিহিৃত করে
মর্যাদা দেয়ার উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য। অথচ একাজটি এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। যা সত্যিকার অর্থে দুঃখ জনক। স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পন করা সময় উপস্থিত ছিলেন, বশরুজ্জামান, দীপক, জাফর, মাহবুব স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ঠ লেখক কালাম চৌধুরী, শহীদ দীপকের ছোট ভাই প্রদীপ বড়–য়া বাপ্পী, শহীদ মাহবুবের ছোট ভাই রফিকুল আলম চৌধুরী ও শহীদ জাফরের ছোট ভাই জাকির হোসেন প্রমুখ। বক্তারা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পাবলিক লাইব্রেরির একটি কক্ষকে মুক্তিযোদ্ধা পাঠ কক্ষ হিসেবে তৈরি করে সেই কক্ষটি এই চার শহীদের নামে নামা
করণের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়রের প্রতি আবেদন জানান। এছাড়া শহীদ মাহবুব ও শহীদ দীপকের গনকবরের চিহিৃত স্থানে স্মৃতি স্তম্ভ্য তৈরি করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন যে প্রকল্প গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়নের জন্য আবেদন জানান।