নিজস্ব প্রতিবেদক:
বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনে হতাহতের মামলায় ভবনের মালিক বিএনপি নেতা তাসভীর উল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাসভীর উল ইসলাম হচ্ছেন কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভীর প্রযুক্তি খাতের কোম্পানি কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এফআর টাওয়ারের ২১ থেকে ২৩ তলা পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের অফিস। ছিল এফআর টাওয়ার পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করছিলেন এ বিএনপি নেতা শনিবার রাতে বাড়িধারার বাসা থেকে তাসভীর উল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন
গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সাজাহান সাজু তিনি এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বনানী থানায় দায়ের করা মামলায় শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তাসভীর উল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। বলে জানিয়েছেন তিনি তিনি আরও বলেন এফআর টাওয়ার: মূল নকশায় ‘মিল ছিল না সতর্কবাণীও ‘উপেক্ষিত’ গত বৃহস্পতিবার এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার পর ২৬ জনের মৃত্যু এবং আরও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। ওই ভবনে যথাযথ অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নেই বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস। এটি ভবন নির্মাণ
নীতিমালা অনসুরণ করে তৈরি করা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। বিএনপি নেতা তাসভীর উল ইসলামের বিরুদ্ধে এদিকে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের ৩২ নম্বর হোল্ডিংয়ে এফআর টাওয়ারের জমির মূল মালিক ছিলেন এস এম এইচ আই ফারুক নামের ১জন প্রকৌশলী। সেই জমিতে ২০০৫ সালে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে রূপায়ন গ্রুপ। ২ বছর পর ভবনটি চালু করেন আধাআধি মালিকানা হওয়ায় ভবনটির নাম তখন দেওয়া হয় ফারুক-রূপায়ন টাওয়ার; সংক্ষেপে এফআর টাওয়ার। রূপায়ন পরে তাদের মালিকানার থাকা বিভিন্ন ইউনিট বিক্রি করে দেন। সব মিলিয়ে ২৩
তলা ওই ভবনের সবগুলো ইউনিটের মালিক এখন ফারুক ও তাসভীরসহ মোট ২৪ জন। বিভিন্ন ফ্লোর তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দিয়েছেন। তবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এফআর টাওয়ারের তাসভীর ছিলেন। বনানীর অগ্নিকাণ্ড: এফআর টাওয়ারেও ছিল সেই অব্যবস্থাপনা ২১ থেকে ২৩ তলা পর্যন্ত অফিস রয়েছে তাসভীরের প্রতিষ্ঠানের, তিনিই ভবনটি পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তাসভীর উল ইসলাম একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৩ আসন থেকে (উলিপুর) বিএনপির প্রার্থী হিসেবে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গিয়েছেন। ব্যবসায়ী তাসভীর রাজনীতিতে আসেন ২০০৬ সালে। তবে তার বড় ভাই প্রয়াত এ কে এম মাঈদুল ইসলাম বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন তিনি। পরে এইচ এম এরশাদের জাতীয় পার্টির আমলেও মন্ত্রী হয়েছিলেন এ মাইদুল। দশম সংসদেও জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন
তিনি।এফআর টাওয়ারে পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় এবং ভবন নির্মাণ বিধিমালা অনুসরণ না করার দিকে ইঙ্গিত করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, সেখানে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানি দুর্ঘটনা নয়, এটি ‘হত্যাকাণ্ড’।করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী তিনি আরও বলেছিলেন অসাধু কোন ব্যবসায়ীকে ছাড় দেওয়া হবে না সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম