রোববার সন্ধ্যার সময় হটাৎ ঢাকার আকাশ কালো করে নামে কালবৈশাখী ঝড়, যা কয়েক মিনিট স্থায়ী ছিল। এতে বিভিন্ন স্থানে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে।পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হক ঝড়ের সময় পুরানা পল্টন মোড়ে চায়ের গলিতে উঁচু ভবন থেকে ইট পড়ে নিহত হন মো. হানিফ (৪৫) নামে এক চা দোকানি।হানিফকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।ওসি মাহমুদুল হক বলেন, “আশেপাশে বহুতল অনেক ভবন রয়েছে। তবে কোন ভবন থেকে ইট পড়েছে, তা বোঝা যায়নি।”সংসদ ভবন এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ে এক নারী মারা যান বলে জানিয়েছেন শেরে বাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম।ওই নারীর নাম মিলি ডি কস্তা (৬০)। তিনি পাশের
মনিপুরি পাড়ায় থাকতেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি সন্ধ্যায় হাঁটতে বেরিয়েছিলে।পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় মাথায় ইট পড়ে দুলাল মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তি মারা যান বলে মিরপুর থানার ওসি দাদন ফকির জানান।দুলাল বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক। পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় একটি টিনশেড ঘরে থাকতেন তিনি। সেখানে নির্মাণাধীন বাড়ির দেওয়াল থেকে ইট পড়ে
তিনি আহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে ওসি জানান।ঝড়ে কাকরাইলেও গাছের ডাল ভেঙে একটি প্রাইভেটকার ও একটি অটোরিকশার উপর পড়ে। এতে অটোরিকশা চালক সামান্য আহত হন বলে পুলিশ জানিয়েছে।ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ঝড়ে অন্তত ২৫টি স্থানে গাছ পড়ার ঘটনা ঘটেছে।ঝড়ের মধ্যে
বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকা ডুবে এক নারী ও তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। নিহত মা ও পাঁচ বছর বয়সী ছেলের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।কদমতলী থানা এলাকার পলাশপুরে দেয়ালচাপা পড়ে নিহত হন হাসান (৪০) নামে এক রিকশাচালক।কদমতলী থানার ওসি জামালউদ্দীন মীর বলেন, “পলাশপুর ৫নম্বর সড়কে একটি বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দেওয়াল পড়ে মারা যান হাসান।”