
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার লেমুছড়ি সীমান্তে একটি সশন্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের সাথে যৌথবাহিনীর সংঘর্ষে এক সন্ত্রাসী নিহত ও বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।আজ সকাল পোনে ১১টার এ ঘটনা ঘটে।নিহত সন্ত্রাসীর নাম জ্ঞ্যান মংকর চাকমা (৪৫)। তার বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলায়। সে ওই এলাকার প্রধান অর্থ সংগ্রহক বলে জানা গেছে।এ ঘটনার পর
ওই এলাকা থেকে ৭টি এসএমজি, ১১টি ম্যাগজিন, ৪৩৭ রাউন্ড গুলি ও ৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।চট্রগ্রামের র্যাব-৭ এর একটি দল এ অভিযান চালায়। অভিযানে সহায়তা করেন সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা।র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতা উদ্দিন আহম্মদ জানান, গত ১৮ মার্চ রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী
দায়িত্ব শেষে ফেরার পথে গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় সাতজন নিহত হওয়ার ঘটনার পর ওই সন্ত্রাসী গ্রুপটি বান্দরবান সীমান্তে গা-ঢাকা দেয় এমন খবর ছিল যৌথবাহিনীর কাছে।তিনি আরো জানান, সন্ত্রাসী গ্রুপটি মিয়ানমার সীমান্ত থেকে অন্ত্র সংগ্রহ করে বান্দরবানের লেমুছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় যৌথ বাহিনীর সাথে সংঘর্ষের ঘটনা
ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে জ্ঞ্যন মংকর চাকমা নামের এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। অন্য সন্ত্রাসীরা গুলির মুখে পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে ৭টি এসএমজি, ম্যাগজিন, গুলি ও চাদার টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অন্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১টি ৫.৫৬ এমএম এসএমজি, ৫টি ৯ এমএম এসএমজি ও ১টি একে ৩২ এসএমজি। সাথে রয়েছে ১১টি অন্ত্রের
ম্যাগজিন, ৪৩৭ রাউন্ড উদ্ধারকৃত অন্ত্রের গুলি ও ৪ লাখ ৩৬ হাজার নগদ টাকা।এ ঘটনার পর ওই এলাকাটি যৌথ বাহিনী ঘিরে রেখেছে। সীমান্তে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। সন্ত্রাসীরা যাতে সীমান্ত পর হয়ে মিয়ানমারে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে টহল বাড়ানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক থেকে নির্বাচনী কাজ শেষে প্রিসাইডিং অফিসারসহ অন্যান্যরা খাগড়াছড়ি ফেরার পথে একদল সন্ত্রসী গাড়ি বহরে ব্রাশফায়ার করে। এতে প্রিসাইডিং অফিসারসহ সাতজন নিহত হন।
হামলাকারী সন্ত্রাসী গ্রুপটি পাালিয়ে বান্দরবান সীমান্তে অবস্থান নিলে তাদের সাথে বুধবার এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে নিরাপত্তা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।