আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য রেজিস্ট্রেশনের উদ্যোগ ও অনলাইন নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে।‘ফেইক নিউজ অ্যান্ড হেইট স্পিচ : কজেজ অ্যান্ড কনসিক্যুয়েন্সেস, হাউ ইট সাবভার্ট আওয়ার ডেমোক্রেটিক সিস্টেমস’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান
অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।আজ শনিবার রাজধানীর কসমস সেন্টারে ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ, সিঙ্গাপুর এর প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদষ্টো ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাকাউন্টিবিলিটি অ্যান্ড ইন্টারনেট
ডেমোক্রেসি-এর প্রেসিডেন্ট ড্যান সেফেট। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েত উল্লাহ খান।আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য রেজিস্ট্রেশনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। অনলাইন নীতিমালা প্রণয়নে সরকার কাজ করছে।তিনি বলেন, সাইবার আদালত
গঠন, গুজব প্রতিরোধে ও অবহিতকরণ সেল গঠনের পাশাপাশি অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য রেজিস্ট্রেশনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে পাঁচটি উদ্দেশে ভুয়া খবর প্রকাশ করা হয়। উদ্দেশ্যগুলো হলো- সাম্প্রদায়িক গুজব ছড়ানো, উগ্র রাজনৈতিক ধর্মীয় মিথ্যাচার প্রচার, রাজনৈতিক
প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং অবৈজ্ঞানিক জল্পনা-কল্পনা প্রচার। ভুয়া খবরের প্রচার ও প্রকাশ বন্ধে বিটিআরসি, আইসিটি বিভাগ, পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে বলেও জানান তিনি।আইনমন্ত্রী বলেন, ফেইক নিউজ বা ভুয়া খবর বাংলাদেশের নতুন কোনো শব্দ বা ধারণা নয়।খবর ও ভুয়া খবর-
অনেকটা সত্য ও মিথ্যার মতোই সমান্তরালভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠী অনেক ফেইক নিউজ ছড়িয়েছিলো। তারা আমাদের মহান স্বাধীনতাকে নিয়ে ফেইক নিউজ ছড়িয়েছিলো, মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে নিয়ে ফেইক নিউজ ছড়িয়েছিলো, বঙ্গবন্ধুর অবদানকে নিয়ে
ফেইক নিউজ ছড়িয়েছিলো। এমনকি একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যও তারা দেশ ও বিদেশে অনেক ফেইক নিউজ ছড়িয়েছে এবং তা বিভিন্ন প্রকৃতিতে ছড়িয়েছে।তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ অনেক দেশের মূলধারার সংবাদ মাধ্যম এখন সংবাদের প্রাথমিক উৎস হিসেবে ফেসবুক-টুইটার ব্যবহার করে। কাজটা
দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্বের সাথে করলে ঝুঁকির আশঙ্কা কম থাকে। কিন্তু অধিকাংশ অনলাইন সংবাদমাধ্যম তা করে না।আনিসুল হক বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। যারা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ফেইক নিউজ তৈরি করে প্রচার করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে।সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের বিষয়ে
আইনমন্ত্রী বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী হিসেবে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। এছাড়া কোনটা নিউজ আর কোনটা ফেইক নিউজ এ সম্পর্কেও প্রাথমিক ধারণা রাখতে হবে।
সূত্রঃ কালের কন্ঠ অনলাইন