
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা রাজধানী বনানীর এফআর টাওয়ারের আগুন নেভাতে গিয়ে গুরুতর আহত ফায়ার সার্ভিসকর্মী সোহেল রানা আর নেই তিনি আজ বাংলাদেশ সময় ভোর ৪ টায় মারা গেছেন। সোহেল রানা ফায়ার সার্ভিসের কর্মী সেই হিরো যার নাম ফায়ারম্যান বা সুপারম্যান বলে ডাকা হতো তাকে তিনি সে সুপারম্যান কেউ যেতে হলো মায়ার বাঁধন ছেড়ে হ্যা তিনি আজ ভোর রাতে বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর সোয়া ৪ টার দিকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার মাহফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন। তিনি জানান, বনানী অগ্নিকাণ্ড আহত সোহেল রানা চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিঙ্গাপুরে মারা গেছেন। তিনি গত ২৮ মার্চ এফআর টাওয়ারে লাগা আগুন থেকে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারের সময়ে ল্যাডারের সিঁড়িতে আটকে সোহেলের পা ভেঙে যায়। এ সময় তিনি পেটেও গুরুতর আঘাত হন। এর পর থেকেই সোহেলকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। গত শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। বনানীর আগুনে আহত হওয়ার পর দেশব্যাপী ‘ফায়ার
হিরো’ হিসেবে পরিচিত হয় সোহেল রানার। সোহেল রানার দেশের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার চৌগাংগা গ্রামের বাসিন্দা তিনি সেই গ্রামের শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এসসি পাস করেন তিনি সোহেল রানার বাবা মোঃ নুরুল ইসলাম এক জন দরিদ্র কৃষক নুরুল ইসলামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী অর্থাৎ সোহেল রানার মা হালিমা আক্তার ওদের ৪ ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে চৌগাংগা গ্রামের বাড়িতে থাকেন তারা ৪ ভাইয়ের মধ্যে হিরো সোহেল রানা সবার বড় পরিবারের হাল ধরতে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সে ফায়ারম্যান হিসেবে চাকরিতে যোগদেন সোহেল রানা