
বাংলাদেশ সচিবালয়, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের মতো প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী ইত্যাদি পদবি পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা করার দাবিতে বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ, চট্টগ্রাম বিভাগ কর্তৃক আজ ২০ এপ্রিল ২০১৯ তারিখ শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব এর সামনে পূর্বঘোষিত কর্মসূিচ অনুযায়ী মানববন্ধন পালন করা হয়। সংগঠনের চট্টগ্রাম বিভাগ অ লের সভাপতি মো: লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক মো: নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া ও
কার্যকরী সভাপতি মো: জাহেদ হোসেনের যৌথ পরিচালনায় মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগস্থ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও বিভাগে কর্মরত প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, সহকারী, সমপদ ও উক্ত পদের ফিডার পদের কর্মচারীরা। পরে বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম বিভাগ, চট্টগ্রাম এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সংগঠনের চট্টগ্রাম বিভাগ অ লের সভাপতি মো: লুৎফর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সচিবালয়ের ভিতরে ও বাইরে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সহকারী,
উচ্চমান সহকারী, সহকারী ইত্যাদি পদের পদবি ও বেতন স্কেল ১৯৭৩ সালে এক ও অভিন্ন ছিল। কিন্তু তৎকালীন সরকার ১৯৯৫, ১৯৯৭ ও ১৯৯৯ সালে প্রজ্ঞাপন দিয়ে শুধু সচিবালয়ের বর্ণিত পদগুলো আপগ্রেড করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদবি পরিবর্তনসহ ১০নং গ্রেডে উন্নীত করে। ফলে সরকারি দপ্তরগুলোর মধ্যে পদবি ও বেতন বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। এর ধারাবাহিকতায় পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের বর্ণিত পদগুলোও আপগ্রেড করা হয়েছে, কিন্তু অন্যান্য দপ্তরের বর্ণিত পদবিগুলো ও
গ্রেড (১৪ নং) অদ্যাবধি পুর্বাবস্থায়ই রয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে তারা এই পদবি বৈষম্যের অবসান চান। সাধারণ সম্পাদক জনাব নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ইতোমধ্যে সরকার উচ্চমান সহকারী, প্রধান সহকারীর সমস্কেল ও নি¤œ স্কেলের কর্মচারীদের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ব্লক সুপার ভাইজার, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, নার্স, অডিটর, খাদ্য পরিদর্শক, পুলিশের এসআই
ইত্যাদি পদবি আপগ্রেড করায় প্রশাসনিক ক্রমবিন্যাস ভেঙে পড়েছে। নি¤œ শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের উচ্চপদে আসীন করায় পরবর্তী প্রজন্ম উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোঃ নুরূল ইসলাম, মো: সফিউল আজম, মো: মজিবুর রহমান (ডাক বিভাগ), মোঃ শাহেনাওয়াজ, মোঃ সাইফুল ইসলাম, রণধীর দাস, এম.এ. হাকিম, সৈয়দ হাছিনুর রব, রাজীব দাশ, মো: মুজিবুর রহমান (রেলওয়ে) প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।