
মাহমুদুল হাসান:টাঙ্গাইল প্রতিনিধি;
টাঙ্গাইলের সখিপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গত ৫ অক্টোবর ১৮ ইং তারিখে নিজ বাড়ীর টয়লেট থেকে বিধবা নাজমা ধলাবানু (৪২) এর অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। ডিসিস্ট নাজমা ধলাবানুর ছোট ছেলে বাদী হয়ে একই তারিখে সখিপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।সখিপুর থানার মামলা নং-০৩ তাং ০৫/১০/১৮ ইং ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। এসআই/শামসুল হক মামলাটি তদন্ত করেন। টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার জনাব সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম অত্র খুন মামলার ঘটনাটি লৌমহর্ষক ও চাঞ্জল্যকর ঘটনা হওয়ায় এই
হত্যাকান্ডের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সার্বক্ষণিক নিজে মামলাটি তদন্তের বিষয়ে মনিটরিং করেন। জনাব মোঃ আমির হোসেন, অফিসার ইনচার্জ, সখিপুর থানা এর নের্তৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সখিপুর থানা পুলিশের বিশেষ টিম ও ডিবি (দক্ষিন) টাঙ্গাইলের পুলিশ কং/মোঃ শামসুজ্জামান পিপিএম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রযুক্তিগত কলা-কৌশল অবলম্বন ও বিভিন্ন ছদ্দবেশধারণ করত অক্লান্ত পরিশ্রম এবং গভীরভাবে তদন্ত করে নিজেদের প্রযুক্তিতে ফাঁদ পাতে গত ২০ এপ্রিল ২০১৯ ইং তারিখ সখীপুর বাজার এলাকা হতে ঘটনার সহিত সরাসরি জড়িত আসামী
আলমগীর হোসেন (২২) কে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামী আলমগীর জানায় ডিসিস্ট নাজমা ধলাবানু (৪২) তার নিজ বাড়ীতে একাই বসবাস করতেন। এই সুযোগে ৬ জন মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। ধর্ষনের পর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হাত, পা বেধে গোসলের কক্ষে রেখে পালিয়ে যায়।যানাযায়,গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতে প্রেরণ করিলে সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবান্দবন্দি প্রদান করায় আদালত আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এছাড়াও ঘটনার সহিত সরাসরি জড়িত হাবিব (২৩) নামের অপর একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষে বিশেষ পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।