নিয়ামুর রশিদ শিহাব, গলাচিপা(পটুয়াখালী)
ঘূর্নিঝড় ফণী’র আতঙ্কে গলাচিপায় প্রায় তিন লাখ মানুষ। এতে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে রয়েছে বেড়িবাঁধ বিহীন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। এ কারণে প্রাণহানী ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী থেকে বাঁচতে মসজিদে বিশেষ দোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গেছে, গলাচিপা উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা প্রায় সাড়ে তিন লাখ লোকের বাস। বিচ্ছিন্ন চর এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ক্ষতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন থেকে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিরাপদে আশ্রয়ের জন্য
প্রস্তুত রয়েছে ১০৫টি আশ্রয় কেন্দ্র। জন সাধারণকে এসব আশ্রয় কেন্দ্র যেতে গ্রামে গ্রামে মাইকিং চলছে। লাল নিশানা টানানো হয়েছে। এদিকে চর কাজল ইউনিয়নের বেড়িবাধ ভেঙ্গে যাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে ১৫হাজার লোক। এসব গ্রাম গুলো হলোঃ বড় কাজলের ১,২,৩নং ওয়ার্ড, ছোট কাজলের ৪নং ওয়ার্ড।একই অবস্থা উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন চর বিশ্বাসের চর বাংলা এলাকা। সেখানের জন সাধারণকে নিরাপদে নিয়ে যেতে কাজ করছে সিপিপি ইউনিট টিম। রামনাবাদ নদীসহ বিভিন্ন নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বেড়িবাঁধের বাহিরে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে
মাছের ঘের মালিকরা।গলাচিপা সদর ইউনিয়নের সিপিপির ইউনিট টিম লিডার শাহিদা বেগম জানান, বেড়িবাঁধের বাহিরে চর কারমারমা ও দক্ষিণ পক্ষিয়া গ্রামে প্রায় হাজার খানের লোক বাস করে। তাদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হলেও বেশির ভাগ লোক নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। বাকিরা ভিটে মাটি ছেড়ে যায়নি। তবে তাদেরকে নিরাপদে আশ্রয় গ্রহনে জোর প্রচেষ্টা চলছে। কারমারমার কোল ঘেসে রামনাবাদ নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তার নিজের মাছের ঘেরও তলিয়া যায়।