
নিজস্ব প্রতিবেদক
গতকাল ৫ মে, রবিবার বিকাল ৪ ঘটিকার সময় এসোসিয়েশন কার্যালয়ে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন অত্র এসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সভাপতি মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল হাশেম এর স ালনায়, মোঃ মোরশেদ হোসেন নিজামী, হাজী মোঃ হারুন, মোঃ এনামুল হক, মোঃ জসিম উদ্দিন, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ হোসেন, রেজাউল করিম, হাজী মোঃ কামাল, মোঃ আবছার, মোঃ সবুজ, মোঃ দিদার, মোঃ ঈসমাইল, মোঃ লিটন, মোঃ আকরাম, মোঃ মুকুল, মোঃ বাদশা, প্রবীর ঘোষ, মোঃ সালাউদ্দিন, পলাশ,
হাজী মোঃ নবী, শহীদুল ইসলাম, মোঃ জাফর, মোঃ হানিফ সহ অত্র এসোসিয়েশনের সকল নেতৃবৃন্দ এবং লো বেড, সেমি-লোবেড মালিকগণ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, আমাদের লো বেড, সেমি-লোবেড ভারী মালামাল পরিবহণে দীর্ঘ অনেক দিন ধরে বিভিন্ন সমস্যার কারণে এরকম অচল অবস্থার প্রেক্ষিতে গত ২৮/০৩/২০১৯ইং তারিখে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সংবাদ সম্মেলন মানববন্ধন করেছি। তার সময়সীমা অনুযায়ী ১ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায়, বিশেষ করে ওভার লোড নিয়ন্ত্রণে স্কেলে হয়রানি, ভারী
মালামাল পরিবহণে পুলিশি হয়রানি, যখন তখন মালিকের স্বার্থ পরিপন্থি আইন পরিবর্তন এ বিষয়ে গত ৩০ এপ্রিল, ২০১৯ইং তারিখে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উল্লেখিত সমস্যাগুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ২ মে, ২০১৯ইং তারিখ হইতে অনির্দিষ্ট কালের জন্য লো-বেড, সেমি-লোবেড ভারী মালামাল পরিবহণ বন্ধ রয়েছে। তারা আরো জানান গত ২০১৬ইং সালে প্রাইম মুভার ট্রেইলারের ৬ দফা আন্দোলনে ৫ দিন বন্ধের প্রেক্ষিতে সরকার ওভারলোড নিয়ন্ত্রণে ৪ এক্সেল (১৪ চাকা) বিশিষ্ট ট্রেইলারের ৪০ টন নির্ধারণ করে এবং ৪ এক্সেল এর পরে প্রতি এক্সেলে সোয়া ৭ টন ওজন সীমা
বৃদ্ধি পাবে সেই অনুযায়ী ভারী মালামালবাহী লো বেড, সিমি লোবেড এক্সেল অনুসারে ভারী মালামাল পরিবহণ করে আসছিল। কিন্তু আমাদের অগোচরে সম্প্রতি ৬-৭ মাস আগে সরকার ৫ এক্সেলের পরে সোয়া ৭ টন এর স্থলে ২ টন নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেই সাথে ভারী মালামালের দৈর্ঘ্য প্রস্থ ও উচ্চতার ক্ষেত্রে বিধি বিধান আরোপ করে ব্রীজ, পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক উক্ত মালামাল পরিবহণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আরো জানান দেশের সর্বোচ্চ মেঘা প্রকল্পের কাজে দেশের কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগকারী ভারী গাড়ির মালিকদের উপেক্ষা করে কিছু বিদেশী
কোম্পানী তাদের নিজস্ব ইকুইপমেন্ট ভারী লোবেড ব্যবহার করে আমাদের পথে বসিয়েছে। এমনকি তাদের গাড়ীগুলোর রেজিষ্ট্রেশন পর্যন্ত নাই। তাতে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে অন্য দিকে আমাদের রেজিষ্ট্রেশনকৃত অনেক গাড়ির মালিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অচিরেই চলমান সমস্যা সমাধান না হলে চট্টগ্রাম বন্দর ও দেশের মেঘা প্রকল্পসহ সারা দেশের প্রাইম মুভার ফ্লাটবেড কন্টেইনারবাহী ট্রেইলার বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং সেই সাথে দেশের সকল পরিবহন মালিক শ্রমিক সংস্থার সহযোগীতা কামনা করেন।