নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার সামনে অবস্থিত গাউছিয়া হোটেলের খাবারের মান এবং পরিবেশ অত্যান্ত নিম্ন মানের হওয়ায় সেখানে খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুঁকি। কিন্তু এই পয়েন্টে থানা এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার বাস কাউন্টার থাকার কারণে প্রতিনিয়ত লোকজনের ভীড় থাকে। তাই বেশীর ভাগ লোক এই রেষ্টুরেন্টে খাবার গ্রহণ করেন। এখানে বিশুদ্ধ পানির কোন ব্যবস্থা নেই। বোতলজাত মিনারেল পানির ব্যবস্থা থাকলেও প্রতি লিটার পানির দাম ২০ টাকা হওয়ায় সাধারণ গ্রাহকরা তা নিতে পারেন না।
পরিবেশন করা হয় ওয়াসা এবং অন্যান্য নোংরা উৎসের পানি। লোকজন খাবার খাওয়ার পর বাধ্য হয়ে এই পানি পান করে নিজের স্বাস্থ্যকে চরম ঝুঁকিতে ঠেলে দিচ্ছে। কারণ বিশুদ্ধ পানির অপর নাম জীবন। দীর্ঘদিন গ্রাহকের অনেক অভিযোগ পাওয়ার পর ১৩মে ইফতারের পর সরাসরি সেই রেষ্টুরেন্টে যায় প্রতিবেদক। খাবার টেবিলে বসার পর দেখা গেল পানির জগে হলুদ প্রকৃতির কিছু ময়লা ভাসছে। ঢাকনা উল্টাতেই বেরিয়ে এল দূর্গন্ধ।বুঝতে বাকি রইল না এটা টয়লেটের ময়লা। এসময় হোটেলে উপস্থিত একজন
গ্রাহক সালাউদ্দিন বলেন, ‘সব মানুষ তো আর মিনারেল ওয়াটার কিনে খেতে পারবে না ৫০০মিঃ লিঃ মিনারেল ওয়াটার এর মূল্য ১৫ টাকা সাধারণ কোন মানুষের ১৫ টাকা দিয়ে পানি কিনে খাওয়ার সাধ্য নেই। মূলত কর্তৃপক্ষ হোটেল ব্যবসার নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করে পানির ব্যবসা করে প্রতিনিয়ত মানুষকে ঠকিয়ে যাচ্ছে।’এ বিষয়ে পরিচয়
গোপন করে গাউছিয়া হোটেলের মালিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখানে মিনারেল ওয়াটার এর ব্যবস্থা করেছি যারা এসব পানি খেতে পারবেন না তারা মিনারেল ওয়াটার কিনে খাবেন। এই কথা শুনে বুঝা গেল মিনারেল ওয়াটার বিক্রি করার জন্য কোন বিশুদ্ধ পানি রাখা হয়নি। থানার বেশীর ভাগ কর্মকর্তা -কর্মচারী এই হোটেলে চা-নাস্তা খান।তাদের উচিত গাউছিয়া হোটেলের খাবার পানিটা যাচাই করে দেখা।