মোঃ জসীম উদ্দীন,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোর বেনাপোল চেকপোষ্টে আর্মড পুলিশের হাতে বাংলাদেশ গামী কিংবা ভারত গামী পাসপোর্ট যাত্রীরা প্রতিনিয়ত হয়রানী ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের চাহিদা মতো টাকা না পেলে নানা ভাবে হয়রানী করছে যাত্রীদের। কখনো বিজিবি দিয়ে ধরিয়ে দিচ্ছে। হয়রানী বা নির্যাতনের মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলেছে।ভারত থেকে আসা বাংলাদেশ গামি পরিবহনগুলোর থামিয়ে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের হয়রানি ও নির্যাতন করে যাচ্ছে এতে যাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা পাবে তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে টাকা না দিলে নির্যাতনের শিকার হতে হয় যাত্রীদের সম্প্রতি বেনাপোল চেকপোস্টে
পাসপোর্ট যাত্রীর কাছে আর্মড পুলিশ কর্তৃক ঘুষ আদায়ের প্রতিবাদ করায় মেহেদি হাসান ও নজরুল ইসলাম নামে দুই সাংবাদিক কে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিতের শিকার হতে হয়েছে আর্মড পুলিশের হাতে।বুধবার (১৫ই মে) সন্ধ্যার সময় বেনাপোল চেকপোস্টে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে এ ঘটনাটি ঘটেছে। আহত সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দৈনিক ঢাকার ডাক পত্রিকার বেনাপোল প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করছে ও মেহেদি হাসান যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক সত্যপাঠের বেনাপোল প্রতিনিধি। আর্মড পুলিশের হাতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় শার্শা ও বেনাপোলে কর্মরত সকল সাংবাদিকরা
ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দায়ী পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছেন। তারা আহত সাংবাদিক নজরুল ইসলাম জানান, তিনি পেশাগত কাজে বেনাপোল চেকপোস্টে অবস্থান করছিলেন। এসময় জানতে পারেন বেনাপোল চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে মুকুল সর্দ্দার (পাসপোর্ট নং- জেড৫০৮১৪৫৩) এক পাসপোর্টযাত্রীকে ঘুষ বানিজ্যের কারণে তার পাসপোর্ট আটকে রেখেছে আর্মড পুলিশ সদস্যরা। পরে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে আর্মড পুলিশ নাইমের কাছে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিষয়টি জানতে চান। এসময় ঐ আর্মড পুলিশ তাকে
ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এসময় তিনি প্রতিবাদ করলে সেখানে কর্তব্যরত আর্মড পুলিশের নায়েক সোয়ারাবসহ তিনজন তাকে এলোপাতাড়ি মারধোর করে। পরে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি আবুল বাশার জানান, বিষয়টি তিনি জানার পর অভিযুক্ত আর্মড পুলিশের সদস্য, সাংবাদিক ও পাসপোর্টযাত্রীর সাথে কথা বলেছি। উভয় পক্ষের কথা শোনার পর আর্মড পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেয়েছেন ওসি আবুল বাশার
