
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আজ থেকে ৩৮ বছর আগে এই দিনে ৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের দুই জীবিত সদস্য শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা প্রায় ৬ বছর নির্বাসনকাল পেরিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন। সেই সময় জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত সোয়ার হয়েছিল সামরিক স্বৈরাচার ও তাদের ইন্ধনে একাত্তরের পরাজিত শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে এদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত করছিল। সেই কঠিন সময়ে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে দীর্ঘ
লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে সুরক্ষা দিয়েছেন। তিনি আজ সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একাত্তরের মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃতি খুনীদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে জাতির পাপ মোচন করেছেন। তাই শেখ হাসিনা বাঙালি জাতিসত্তার সুরক্ষার প্রধান অবলম্বন। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন,
শেখ হাসিনার শাসনামলে নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে। আর্ত-সামাজিক ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে এবং সকল উন্নয়নের সূচক বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতের চেয়েও এগিয়ে রয়েছে। আওয়ামী লীগের এ বিশাল অর্জন স্বত্ত্বেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে সাধারণ মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি। তাই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকেই যায়। এই মানসিক পরিবর্তন ঘটাতে আমাদেরকে সাধারণ মানুষের কাছে নিবিড় বন্ধন তৈরী করতে হবে। সভাপতির ভাষণে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন,
৭৫-এর ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সফল হয়নি বরং তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। শেখ হাসিনার এই জাতির কলঙ্ক মোচন করেছেন এবং দারিদ্র্য-বিমোচন ও ক্ষুধামুক্ত লড়াইয়ে বিশ্বনেত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনানের স ালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু,
সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, এড. ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আবদুল আহাদ, লায়ন মো: হোসেন, আবু তাহের, ডা: ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, শহিদুল আলম, জহরলাল হাজারী, কার্যনির্বাহী সদস্য এম.এ জাফর, গাজী মফিউল আজিম, পেয়ার মোহাম্মদ, নুরুল আলম, মোহব্বত আলী খান, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, হাজী বেলাল আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল হাসান, থানা আওয়ামী লীগের হাজী সিদ্দিক আলম, সাহাব উদ্দিন আহমেদ, মো: ইলিয়াছ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শামসুল আলম, হাজী আবু তৈয়ব সিদ্দিকী প্রমুখ।