
ছাতক (সুনামগঞ্জ )প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ছাতক-কোম্পানীগঞ্জ নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধের লক্ষ্যে গত ১৪ মে রাতে ছাতক পৌর শহরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলা নিয়ে পুলিশ প্রশাসন ও ব্যবসায়ী মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন। ব্যবসায়ীরা তাদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহারের কর্মসূচি ঘোষনা করতে গেলে পুলিশ তা করতে দেয়নি বলে ব্যবসায়িদের অভিযোগ । ফলে পুলিশ প্রশাসনের সাথে ব্যবসায়ীদের দুরত্ব দিন দিন বাড়ছে।মামলায় ব্যবসায়ীদের আসামী করার ঘটনায় প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার নৌপথে পাথর লোড-আনলোড ও ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করেন তারা। ওইদিন মানববন্ধন করতে গেলে ছাতক থানা পুলিশের বাধার কারণে করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ পাথর ব্যবসায়ী সমিতির অফিস থেকে ব্যানার খুলে নেন বলে অভিযোগ করেন । দীঘদিন ধরে ছাতকে নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি করে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা। ১৪ মে আওয়ামী লীগের রহিম আলী নামের এক কর্মীর ফেসবুকে স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে ভ্যান চালক নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যাসহ তিনটি মামলা করা হয়। এসআই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৯৮ জনের নাম উল্লেখ ২ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে
বিস্ফোরক মামলা ও এসআই পলাশ সরকার বাদী হয়ে পৌরসভার ৯ কাউন্সিলরসহ ৯৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আড়াই শতাধিক ব্যক্তির বির“দ্ধে পুলিশ এসল্ট মামলা ও নিহত ভ্যান চালকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে।এসব মামলায় ছাতকে অনেক প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ীকে আসামী করা হয়। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ জানান, নৌপথে চাঁদাবাজদের রক্ষা করতে তাদেরকে আসামী করে পুলিশ । দায়েরকৃত এসব মামলা থেকে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন, পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ
সম্পাদক আবুল হাসান, পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামছু মিয়া, মধ্যবাজার ব্যবসায়ী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাদিক মিয়া, একতা বালু উত্তোলন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুস ছাত্তার, শাহপরান ইঞ্জিন নৌকা মালিক সমিতির সভাপতি ছালেক মিয়া প্রমুখ।ছাতক-কোম্পানীগঞ্জ নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ ও ব্যবসায়ীদের নাম মামলা থেকে প্রত্যাহার করার দাবি নিয়ে গত মঙ্গলবার কর্মসূচি পালন করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু পুলিশ মারমুখি অবস্থানে থাকায় ব্যবসায়িরা মাঠে নামতে পারেন নি। মানববন্ধনের উদ্যোগ নেয়া হলেও পুলিশ ব্যানার
খুলে নেয়া অভিযোগ করেন ব্যবসায়িরা। এব্যাপারে ওসি তদন্ত আমিনুল ইসলাম এবিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,সব ব্যবসায়ি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন,তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের আসামী করা হয়েছে ।এব্যাপারে পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী জানান,তাদের পারিবারিক সুনাম ক্ষুন্ন করতে ও রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে একটি পক্ষ এসব অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে । তাদের অবস্থান সব সময়ই চাদাবাজাদের বিরুদ্ধে।