নিজস্ব প্রতিবেদক
চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে এ স্লোগান কে সামনে রেখে জাতীয় সংসদে বিল পাস করা হয়েছে এখন কারও কাছে মাত্র ২৫ গ্রাম বা তার বেশি ইয়াবা, কোকেন, হেরোইন ও পেথিড্রিন জাতীয় মাদক পাওয়া গেলে, বা এটা পরিবহন, চাষাবাদ, উৎপাদন, আমদানি-রপ্তানি বা বাজারজাত করলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ড।এই বিধান রেখে গত শনিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিল ২০১৮ জাতীয় সংসদে পাস করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন।হেরোইন, কোকেন ও কোকা থেকে তৈরি মাদক,
মরফিন, টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল, অপিয়াম, ক্যানাবিস রেসিন, মেথাডন জাতীয় মাদকের জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান আগের আইনেই ছিল।নতুন আইনে বলা হয়েছে, যে এসব মাদক ২৫ গ্রামের বেশি কেউ বহন, পরিবহন বা স্থানান্তর এবং আমদানি বা রপ্তানি করলে কিংবা চাষাবাদ, উত্পাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণে জড়িত হলে শাস্তি হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মুত্যুদণ্ড।এ বিলের ওপর জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব করে জাতীয় পার্টির সাংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, “নিষ্ঠুর আইন। ২৫ গ্রাম পরিমাণের মাদক পেলেই সাজা হবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা
মুত্যুদণ্ড। অনেক বাহক নিজেও জানে না যে সে হেরোইন বহন করছে। এর সঙ্গে পুলিশও জড়িত।” থাকেন বা অনেক সময় পুলিশের নিজের কাছ থেকেও শত্রুতামি করে পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে মামলা দিয়ে দেওয়া হয় তাই তিনি বলেন এই আইন করার আগে একটু ভেবেচিন্তে করতে হবে জনমত যাচাই করতে হবে ‘মৃত্যুদণ্ড’ বা ‘যাবজ্জীবন’ এর আগে ‘সর্বোচ্চ’ শব্দটি না থাকার কথা উল্লেখ করে শামীম হায়দার বলেন, “এ কারণে বিচারকের পক্ষে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া ছাড়া অন্য কোনো শাস্তি দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। বেশ কয়েকটি ধারায় এই শাস্তির কথা বলা
আছে। সুতরাং আইনটি পাসের আগে জনমত যাচাই করা দরকার।”স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ সময় বলেন, ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বলা আছে, ৫০ গ্রাম মাদক পাওয়া গেলে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। ১৯৯০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫৯৬ জনকে বিভিন্ন অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মাদক আইনে কারো মৃত্যুদণ্ড হয়নি। এবারের আইনে ইয়াবার ব্যবহার এবং মাদকে অর্থলগ্নিকারীদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। তবে এদিকে বাংলাদেশ সরকার মাদক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস করলেও সেই আইনের আওতায় আসেনি কোন ইয়াবা
গডফাদার সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের কথা বলা হয় তবে বিচারের আওতায় আনা হয়নি এখনো কাউকে এই আইন সরকার চাইছে মাদক সেবন শূন্যের কোটায় আনতে তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন কিছু মাদক ব্যবসায়ীকে শাস্তি দিলে মাদক সেবন একেবারে কমে যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা