
নিজস্ব প্রতিবেদক
এক রিকশাচালক সাব্বির তার ছেলে বাসায় না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় সাব্বির ছেলেকে রাস্তায় খুঁজে পাই পরে ছেলেকে বকাঝকা করে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল বাসায় সেসময় পথচারীরা ছেলেধরা মনে করে গণধোলাই দেয় সাব্বিরকে ছেলের বাবাকে-ছেলে ধরা মনে করে এলাকাবাসীর গণধোলাই পরে জানলেন বাবা-ছেলে! ছেলেধরা সন্দেহে গণধোলাই- গত বুধবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল হবার পালা। নগরীর সড়কগুলোয় এখনও ব্যস্ততা কেটে যায়নি। প্রতিনিয়ত পথচারীদের সমাগম ফুটপাতে। ঠিক এমনই সময় কানে আসে শিশুর
কান্নার গুঞ্জন। আশে-পাশে তাকাতেই চোখে পড়ে তিন শিশুকে নিয়ে রিকশায় চড়েছেন এক যুবক।যুবকটি বকে চলেছেন আর শিশুরা কাঁদছে। দেখে মনে হয়, যুবকটি শিশুদের কেউ নন।আর তাই রিকশাটির নিকটে ভিড় করে পথচারীরা। তার থেকে শিশুদের ছিনিয়ে নেওয়া হযেছে়। এর পরপরই ভীড় থেকে কেউ গালিগালাজ করছে, আবার কেউ চর-থাপ্পর দিচ্ছে যুবকটিকে।এমনভাবেই নগরীর ২নং রেলগেটে ছেলেধরা সন্দেহে আটক হয়েছেন একজন যুবক। পেশায় তিনি এক জন রিকশাচালক।গত বুধবার (১০ জুলাই) বিকাল ৪ টার দিকে ২নং
রেল গেটের ফজর আলী ট্রেড সেন্টারের সামনে সাব্বিরকে (ছদ্মনামে) আটক করে এলাকাবাসী। এসময় তার সাথে ছিল ৬ থেকে ১০ বছরের ৩ বাচ্চা শিশু।
বাচ্চা গুলোকে ওই যুবক বকতে দেখায় এলাকাবাসী তাকে ছেলে ধরা হিসেবে সন্দেহ করেন এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ৩ শিশুকে বকতে বকতে ও পিটুনি দিয়ে রিকশায় তুলছিলেন সাব্বির। তা দেখে পথচারীদের মধ্যে অনেকরই সন্দেহ হযেছে়, শিশুদের অপহরণ করছে সে। পরে এলাকাবাসীদের মধ্যে অনেকেই রিকশা থামিয়ে দেয় ও সাব্বিরকে আটক করে। এসময়
তাকে পিটুনী দেয়া হয় ও পরে ২নং রেল গেট পুলিশ বক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় এলাকাবাসী ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাব্বির নগরীর নাগবাড়ীর বাসিন্দা। ওই তিন শিশুর মধ্যে একজন তার ছেলে। অন্য দুইজানের বাবার নাম আনোয়ার হোসেন ও জেসী। বুধবার সকাল ১১টার দিকে সেই তিন শিশুকে নিয়ে বন্দর ঘাটে ঘুরতে আসে। এদিকে, সন্তান না বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় বলে সাব্বির খোঁজাখুজি শুরু করে দেয়।পরে দুপুর ৩ টার দিকে বন্দর ঘাটে তার সন্তানের সন্ধান পায়। এসময় সে তার সন্তান ও
অন্য দুই শিশুকে নিয়ে আসে। পথের মধ্যে শিশুদের বকা-ঝকা করতে তাকে ওই যুবক।এসময় এলাকাবাসী ছেলে ধরা সন্দেহে সাব্বিরকে আটক করে।পুলিশকে দিয়ে দেয় এসময় পুলিশ আরও জানায়, অন্যান্য শিশুদের পিতা-মাতাকে বক্সে আনা হয়েছে। এরপর তাদের নিকট শিশুদের হস্তান্তর করা ও হয়েছে। পরে সাব্বিরকে পুলিশ ছেড়ে দেয়।এদিকে এলাকাবাসীর গণধোলাই খেয়ে অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সাব্বির