ছাতক প্রতিনিধি:
ছাতকে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশঃ অবনতি ঘটছে। উপজেলার নতুন-নতুন এলাক প্লাবিত হওয়ার খবর পায়া যাচ্ছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন অংশের উপর দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যেকোন সময় উপজেলা সদরের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওযার আশংকা রয়েছে। পৌর শহরের প্রধান সড়ক ছাড়া প্রায় সবকটি সড়কে পানি উঠে গেছে। শহরের অলি-গলি, বাসা-বাড়ি ও আঙ্গিনায় বন্যার পানি প্রবেশ করায়
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শহরবাসী। বড় ধরনের বন্যার আশংকা করছেন সাধারন মানুষ। এদিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের প্রায় সবকটি গ্রামে বন্যার পানি প্রশে করেছে। ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি অবস্থায় দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছে। উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের প্রায় দুলক্ষ মানুষ পানিবন্দি হয়ে প্রকৃতির সাথে লড়াই করছে। পানিবন্দি এসব মানুষ বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকটে পড়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যাকবলিত মানুষের জন্য কোন আশ্রয় কেন্দ্র খোলা বা কোন সরকারী-বেসরকারী ত্রান
সামগ্রী বিতরণের খবর পাওয়া যায়নি। বর্তমানে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার, চেলা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ও পিয়াইন নদীর পানি ১০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রবল বর্ষণে সুরমা, পিয়াইন ও চেলা নদীতে পাথর ও বালুবাহী বার্জ-কার্গো ও বাল্কহেডে লোডিং-আনলোডিং প্রায় বন্ধ রয়েছে। উপজেলার শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবেদা আফসারী জানান, কন্ট্রোল রমের মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতির সার্বক্ষনিক খবরা-খবর রাখা হচ্ছে। বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি তাদের রয়েছে।