জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। মারা গেছেন! ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর তিনি বেসামরিক হসপিটাল সিএমএইচ সে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন আজ রবিবার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটের সময় মারা যান তিনি।সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভোগার পর ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে
তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।আজ রবিবার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এরশাদের রাজনৈতিক ও প্রেসসচিব সুনীল শুভ রায় বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।এরশাদ রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বল্পতা, ফুসফুসে সংক্রমণ ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন এ অসুস্থতায় ভুগলেও অবস্থা অবনতির দিকে যাওয়ায় গত ২৬ জুন এরশাদকে সিএমএইচে ভর্তি করানো হয়। এরপর সম্প্রতি তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।দীর্ঘদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পরে অবশেষে তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে
চিকিৎসাধীন এরশাদের শারীরিক অবস্থা জানিয়ে গত শনিবারই (১৩ জুলাই) তার ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছিলেন, ‘এরশাদের কোনো অঙ্গ আর স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে না। প্রতিদিন ডাকলে চোখ মেলে তাকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আজ তা করেননি। আসলে তার বয়স হয়েছে। বয়সের কারণে যে উন্নতি হওয়ার কথা তা হচ্ছে না।’রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত প্রায় নয় বছর সরকার চালানো এরশাদ আমৃত্যু এই বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলোচিত এক জন ব্যক্তিত্ব
ছিলেন তিনি।প্রয়াত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জানাজা ৪ স্থানে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর শিকদার লোটন।তিনি বলেছেন, ‘মোট চারটি স্থানে তাঁর (এরশাদ) জানাজার বিষয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে। প্রথমে ক্যান্টনমেন্টে, এরপর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা, তারপর রংপুর নেওয়া হবে। রংপুরের জানাজার পরদিন জাতীয় ঈদগাহে জানাজা শেষে সামরিক করবস্থানে দাফন করা হতে পারে। যদি পূর্বের সিদ্ধান্তে কোনো রদবদল না হয়।তবে দাফনের আগে কোনো এক সময় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেওয়া হতে পারে।’