
ছাতক (সুনামগঞ্জ )প্রতিনিধি:
ছাতকে একস্কুল ছাত্রকে জোরপুবক ধরে নিয়ে বলাৎকারের ঘটনায় সুনামগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু নিযাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি পিটিশন মামলা দায়ের নিয়ে উপজেলাজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছে । এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে।জানা যায়,রামপুর বাজারের শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর সুমন আহমদ (১৫) গত ১আগষ্ট বিদ্যালয় ক্লাস রুমে বসা থাকা অবস্থায় রামপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র শিপন আহমদ কামাল আহমদ শফিক মিয়া ও সিদ্দিক মিয়ার নেতৃত্বে সুমন আহমদ স্কুল
থেকে তাকে জোরপুবক ধরে নিয়ে শফিক মিয়া বাংলা ঘরে দরজা জানালা বন্ধ করে তার উপর মধ্যযুগী কায়দায় অমানবিক নিযাতন চালায়। এ সময় তার পড়নের স্কুল ড্রেস খুলে জোরপুবক তাকে পায়খানার রাস্তা দিয়ে তারা পালাত্রুমে তাকে বলাৎকার ও ধর্ষন করে। সে উচ্চসুরে কান্নাকাটি করলে তার গলায় ধারালো চাকু লাগিয়ে চুপ থাকতে বাধ্য করে। তার উপর অমানবিক নিযাতনের এ ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ করলে তার সহপরিবারকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এলাকাবাসি সন্ত্রাসীদের কবল থেকে স্কুল ছাত্র সুমন
উদ্ধার তাকে ছাতক হাসপাতালে ভতি করা হলে তিনদিন চিকিৎসা নেয়ার পর স্কুল ছাত্র সু্স্থ হয়ে গত ৩ আগষ্ট বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রধান শ্ক্ষিক ও ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি বরাবরে ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।পরেদিন ৪জনের নামে সুনামগঞ্জ নারী ওশিশু নিযাতন দমন ট্রাইবুনালে ৯ম শ্রেনী ছাত্র সুমন (ভিকটিম) বাদী হয়ে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেছেন । সে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের সিকন্দর পুর গ্রামে আব্দুস সাত্তারের পুত্র । এ মামলা দায়ের খবর পেয়ে আসামীরা তাকে প্রতিনিয়ত ভাবে হত্যার হুমকি
দিচ্ছে মোবাইলের মাধ্যমে। এঘটনার ব্যাপারে বালু কামাল জানান,তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয়। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক শংকর চন্দ্র চৌধুরী সঙ্গে যোগাযোগ করলে মোবাইল রিসিভ করে মিটিং আছি পরে কথা বলবো।এব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সোনা মেম্বার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এ ঘটনাকে কেন্দ্র ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাসে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন অভিবাহকরা । এতে বিদ্যালয় লেখাপড়ার মারাত্নক হুমকি মুখে পড়েছে । এলাকাবাসি ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার কারনে খিত্তা,আজিধর পুর ,মালিপুর,হইলন পুর ও সিকন্দর পুরসহ ৫ গ্রামে ছাত্র ছাত্রীরা এক সপ্তাহ ধরে শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাসে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।