তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিম কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে অদ্য ৮ আগস্ট বিকাল ৩ ঘটিকায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়কে স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপি প্রদানকালে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিম কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক এড. এম. আনোয়ার হোসেন’র নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব
এড. মোঃ রফিকুল হক, সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক যথাক্রমে এড. আবু নাছের বিন হাশেম, এড. লোকমান শাহ্, এড. আইনুল কামাল, এড. তৌহিদ হোসেন সিকদার, এড. তৌহিদুল ইসলাম, সমন্বয়ক যথাক্রমে ইয়াছিন আরাফাত, সাঈদ উল্লাহ, মুহাম্মদ রাশেদ, স¤্রাট বাবর ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ স্মারক লিপিতে উল্লেখ করেন, তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুইটি মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। তৎমধ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মিথ্যা
মামলায় গত ০৮/০২/২০১৮ইং তারিখে ০৫ (পাঁচ) বছর কারাদন্ড প্রদান করেন। রায়ের তারিখ থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেল হাজতে বন্দি রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে সরকার পক্ষে আপীল করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজার মেয়াদ বৃদ্ধি করে ১০ বছর করা হয়েছে। জিয়া চেরিট্যাবল ট্রাস্ট মামলায় ৩(তিন) বছর সাজা দেওয়া হয়েছে। রায়ের তারিখ থেকে প্রায় দেড় বছরের অধিক সময় যাবৎ বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় এবং তাহার মনোনীত নিযুক্তীয় আইনজীবীর সহিত মামলার বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে আইনী সহায়তা এবং মনোনীত আইনজীবীকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে জেলখানায় দেখা করার সুযোগ না দিয়ে এবং মামলা পরিচালনা করার জন্য ওকালতনামায় বেগম খালেদা
জিয়াকে স্বাক্ষর করতে না দিয়ে আইনী পরামর্শ ও ন্যায় বিচার থেকে বি ত করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেল হাজতে বন্দি রাখা হয়েছে। যাহা ন্যায় বিচার ও আইনের শাসনের পরিপন্থি। উল্লেখ্য যে, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সর্বমোট ৩৭টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তৎমধ্যে ৩৫টি মামলায় বর্তমানে জামিনে আছেন। বাকী ২টি মামলা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চেরিট্যাবল ট্রাস্ট মামলা ২টি জামিন শুনানির জন্য মহামান্য হাইকোর্টে তালিকায় অপেক্ষমান রহিয়াছে। বর্তমানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ এবং তিনি একজন ৭৪ (চুয়াত্তর) বছরের বৃদ্ধা বয়স্ক মহিলা এবং তিনি প্রায় দেড় বছরের অধিক সময় যাবৎ প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসা না পাওয়ার কারণে বিনা চিকিৎসায় জেল হাজতে আটক থাকায়
তাঁহার ডান হাত ও ডান পা অবশ হয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসার অভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যু ঝুকিতে আছেন। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৯৭(১) ধারার বিধান মোতাবেক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেতে আইনগত কোন বাঁধা নেই। বিধায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার স্বার্থে উপরোক্ত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চেরিট্যাবল ট্রাস্ট মামলাসমূহে জামিন প্রদানপূর্বক পবিত্র ঈদুল আযহার পূর্বে মুক্তিদানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিম স্মারকলিপি প্রদান করেন। অন্যথায় প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসার অভাবে শারীরিকভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অপূরণীয় ক্ষতি হইবে।