
ছাতক প্রতিনিধি:
ইউপি চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে সালিশ বৈঠক.ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছেনা.হোমিও ফার্মেসী বন্ধ.ধরিয়ে দিতে পারলে পাঁচ হাজার টাকা পুরষ্কার.সুনামগঞ্জের ছাতকে সংখ্যালঘু হিন্দু এক পরিবারকে গৃহবন্দী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের কহল্লা গ্রামের মৃত. গোপেন্দ্র দেবনাথ এর ছেলে নিশি কান্ত দেবনাথ বাদী হয়ে একই ইউনিয়নের লাকেশ্বর পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত মফিজ আলীর ছেলে হারিছ আলীকে প্রধান আসামীসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে গত রোববার ১১ আগষ্ট থানায় একটি লিখিত
অভিযোগ দায়ের করা হয়।অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের লাকেশ্বর পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত মফিজ আলীর ছেলে হারিছ আলী, একই গ্রামের মৃত. মছদ্দর আলীর ছেলে আমজদ আলী ও কহল্লা গ্রামের মৃত. গফেশ দেবনাথের ছেলে গৌর মনি দেবনাথের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ নির্যাতিত পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। গত ৩১ জুলাই বুধবার রাত অনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় একই ইউনিয়নের কহল্লা পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত. ওয়ারিছ আলীর ছেলে ছাদ মিয়া ও কহল্লা গ্রামের মৃত. আব্দুল খালিকের ছেলে দিলাল
মিয়া নির্যাতিত পরিবারের বাড়ীতে আসেন। এ সময় তারা বলেন, ছৈলা আফজালাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদ এর সভাপতিত্বে স্থানীয় লাকেশ্বর বাজারে ৩১ জুলাই আজ (বুধবার) এক বৈঠক অনুষ্টিত হয়। এই বৈঠকে তোমাদেরকে গৃহবন্ধী করার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই দ’ুজন নির্যাতিত পরিবারকে আরো বলেন, আজ ৩১ জুলাই (বুধবার) থেকে তোমরা হাট-বাজার রাস্তা-ঘাটে বের হবেনা। এমনকি তোমাদের সন্তানরা স্কুল কলেজে যেতে পারবেনা। গরুর জন্য ঘাস কাটতেও যেতে পারবেনা। যদি যাও তবে ধরে নিয়ে
চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দিলে তিনি (চেয়ারম্যান) ৫০০০/০০ পাঁচ হাজার টাকা পুরষ্কৃত করবেন। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, এ খবর পাওয়ার পর থেকে নির্যাতিত পরিবারের বাড়ীর আশ-পাশ লোকজন পাহারা দিচ্ছে। ছেলে মেয়েরা স্কুল- কলেজে যেতে পারছেনা। স্থানীয় লাকেশ্বর বাজারে নির্যাতিত পরিবারের সদস্য নিরঞ্জন দেবনাথ শষীর হোমিও ফার্মেসীটি বন্ধ রয়েছে। প্রাণ ভয়ে কোথাও বের হতে পারছেন না। বারদিন যাবৎ তারা গৃহবন্দী অবস্তায় রয়েছেন বলে অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই পিযুষ কান্তি দেবনাথ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগটি জিডি হিসাবে এন্ট্রি করা হয়েছে।ছাতক থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত কার্যক্রম চলছে।ছাতক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী কর্মকর্তা (ভাপ্রাপ্ত) তাপশ শীল বলেন, নিশি কান্ত দেবনাথ আমার কাছে একটি লিখিত দরখাস্ত দিয়েছেন। থানা পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।