মোঃ জসীম উদ্দীন,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
দালালের খপ্পরে পড়ে ভালো কাজের লোভ দেখিয়ে ভারতে পাচার করেছিল সাতজন যুবতী মেয়েকে ভাল কাজের প্রলোভনে বিভিন্ন সময় ভারতে পাচার হওয়া সাত বাংলাদেশি যুবতীকে বুধবার (১৪ই আগস্ট) বিকালে কাগজ পত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে যৌথভাবে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি’র) হাতে তুলে দেয়।ফেরত আসারা হলো- খুলনার রোজা খাতুন (২১),ময়না খাতুন (১৯) পিরোজপুরের মরিয়ম (১৮),শান্তি খাতুন (১৬), রিনা মুন্নি
(১৯ ), ঝিনাইদহের বিলকিস (২২),ও শিমা(২১)।জাস্টিস এন্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদেরকে পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে নিজেদের জিম্মায় নিয়েছেন। পাচারের শিকার ময়না খাতুন জানান, ভালো কাজের সন্ধানে অবৈধ পথে সীমান্ত পথে সে ভারতে পাড়ি জমায়। পরে দালালরা তাকে সেখানে ফেলে পালিয়ে আসে। ভারতীয় পুলিশ তাকে আটক করে জেলে পাঠায়। সেখান থেকে ভারতীয় একটি এনজিও সংস্থা তাকে ছাড়িয়ে নিজেদের আশ্রয়ে রাখে। ৩ বছর পর তিনি বাড়ি ফিরছেন।
এনজিও সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ার প্রতিনিধি জানান, দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে তাদেরকে স্বদেশ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় তাদের ফেরত আনা হয়েছে। এরা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে মামলা করতে আইনি সহায়তা করা হবে।বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মাসুম বিল্লাহ জানান, কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।এ সময় ওসি তদন্ত পরামর্শ দেন কোন কাজের লোভ দেখালে তাকে সাথে সাথে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি