নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সম্প্রতিক সময়ে ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বিভিন্ন অবৈধ স্পট জুয়ার আসর থেকে শুরু করে ক্যাসিনো পর্যন্ত অর্থাৎ যেখানেই অবৈধ কাজ চলবে না কেন সেখানে উপস্থিত হয়ে যায় ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। সারোয়ার আলম। র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব এর সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিনি। বিভিন্ন অনিয়ম খাদ্য, ওষুধ থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যের গুণগত মান ও ভেজাল এবং মেয়াদ, হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, অতিরিক্ত ফি নেয়াসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে দেশের মানুষের মনে আস্থার জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ঢাকার ফকিরাপুলে একটি ক্যাসিনোতে অভিযান চালানোর পর নায়ক বনে যান সারোয়ার। এ অভিযানের জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ সব জায়গায়ই প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। গত বুধবার ওই ক্যাসিনোতে অভিযান চালিয়ে ১৪২ জনকে আটক করে র্যাব। এ অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সারোয়ার আলম।ওইদিনই ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছিল। খালেদ ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।এদিকে, গত কাল শুক্রবারও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা পরিচয় দেয়া জি কে শামীমের নিকেতনের ৫ নম্বর রোডের ১৪৪
নম্বর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ অভিযানের নেতৃত্বেও ছিলেন সারোয়ার আলম।শামীমের বাসা থেকে ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআরের নথি, নগদ ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, অস্ত্র, বিদেশি মুদ্রা, মদ, আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক জব্দ করা হয়েছে।এদিকে, জি কে শামীমকেও আটক করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব।গত আট বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ গবাদি পশুর বিভিন্ন ভ্যাকসিন, এন্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ধরণের ওষুধ রিপ্যাক করে বিক্রয় করায় সম্প্রতি রাজধানীর ফকিরাপুলে এডভান্স এনিম্যাল সায়েন্স কোং লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ
ছয় জনকে ২ বছর করে কারাদণ্ড ও ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করে র্যাব-২, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহযোগিতায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।এছাড়া ১০ কোটি টাকা মূল্যের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও জব্দ করা হয়। এ অভিযানেও ছিলেন সারোয়ার আলম। অভিযানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হলে মুহূর্তে ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম জনপ্রিয় হয়ে যায় বাংলাদেশের মানুষের কাছে।এছাড়া প্রায় প্রতিদিনই রাজধানীর কোনো না কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা কিংবা খাবারের দোকানে
অভিযান চালাচ্ছেন সারোয়ার আলম। একই সঙ্গে কিশোরদের মাদকসেবন থেকে শুরু করে রাজধানীতে ঘটা নানান অপরাধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেও সমানতালে অভিযান চালাচ্ছেন তিনি।এদিকে, সারোয়ার আলমকে নিয়ে সামাজিক যোগযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। অনেকে এ পোস্ট নিজের অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে সারোয়ার আলমের প্রশংসা করছেন। ভাইরাল হওয়া পোষ্ট- ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম কে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায় বলে জানা যায়।র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম, আপনি এই শতাব্দির শ্রেষ্ঠ জীবিত কিংবদন্তী। আপনি ভীনগ্রহে থেকে
ছুটে আসা দুর্নীতিতে ডুবে যাওয়া সুড়ঙ্গের শেষ আলো। গ্রীক বীর হারকিউলিসের চেয়েও শক্তিশালী ও সাহসী। আপনি রুপকথার শেষ যুবরাজ।প্রতিটি দুর্নীতিবাজ রাঘব বোয়ালের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নেপথ্যের নায়ককে খুঁজতে গেলেই আপনার নাম দেখি, আপনি ওয়ান ম্যান আর্মি। ক্যাসিনো ধরার মত সাহসীকে খুঁজতে গিয়েও দেখি আপনি।স্যার, আপনাকে শ্রদ্ধা জানানোর ভাষা আমি শিখিনি। আপনি অন্ততপক্ষে ১০০ বছর বেঁচে থাকুন। কাউকে আয়ু ধার দেয়ার বিধান থাকলে আপনাকে আমার এই মধ্য বয়স থেকেও কিছুদিনের আয়ু ধার দিতাম। আপনি বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে।
আপনার প্রতি স্নেহ, প্রীতি, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও শুভকামনা।
ভালোবাসা অবিরাম স্যার।এই কথাগুলো ছিল র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এর ভক্তদের।
সত্যি তিনি একজন কিংবদন্তি জীবন্ত মহানায়ক!