
বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা কোতোয়ালি থানা শাখা আজ ১০ অক্টোবর’১৯ ইংরেজি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদী মানবপ্রাচীর করেছে। মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম। মুহাম্মদ নুর রায়হান ও আতাউল মোস্তফা জামশেদ যৌথ স ালনায় এতে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবসেনা নেতা নাযিম উদ্দিন, মোঃ জসিম
উদ্দিন, আমির হোসেন সোহেল, মহিউদ্দিন সায়েম, রাশেদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ ফারুক আবিদ, সাজ্জাদুর রহমান সাব্বির, মিরাত হোসেন, হাফেয নাসির উদ্দিন, খোরশেদুল ইসলাম মুন্না, সাদেক মিয়া, মঈন উদ্দিন সাগর, সাইফুল ইসলাম, দিদারুল ইসলাম প্রমূখ। প্রধান অতিথি বলেন, দেশে সুশাসন ও ন্যায় বিচারের অনুপস্থিতি প্রকটতর। শাসকগোষ্ঠির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে খুনী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অত্যাচারীসহ নানাবিধ অপরাধীর দৌরাত্ম্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। খুনীরাও আইনের ফাঁকফোকরে বেড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে একের পর এক হত্যাকা- ঘটছে। দেশের মানুষ
তাদের সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে চরম আতঙ্কে আছে। বুয়েটের মতো দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠে আওয়ামী সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে হলের মধ্যে প্রায় চারঘন্টা যাবত নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তার একটাই অপরাধ, সে ফেসবুকে ভারত-বাংলাদেশের সম্প্রতি সংগঠিত চুক্তির বিরোধিতা করেছেন। ভিন্নমত প্রকাশ করার অপরাধে তাকে প্রাণ দিয়ে মূল্য দিতে হলো। একসময় স্বাধীনতা বিরোধী শিবিরের ক্যাডাররা ভিন্নমত প্রকাশকারীর রগকাটা, হত্যার মত ঘৃণ্য ঘটনা ঘটাতে। তাহলে
শিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। এ সরকার বিগত ১০ বছর ক্ষমতায় আছে, অথচ এসময়কালে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ জন শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের হাতে নিহত হয়েছে। আরো কত লাশ পড়লে ছাত্রলীগ ক্ষান্ত হবে জাতি জানতে চায়। প্রধানমন্ত্রী বিচার আশ্বাস দিয়েছেন, আমরা এবার অন্তত বিশ্বাস করতে চাই যে, বিশ্বজিৎ এর খুনীদের ন্যায় এরা পার পাবে না। তিনি বলেন, অন্তত আবরারের খুনীদের শাস্তির মাধ্যমে দেশে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করুন। যুবনেতা নাজিম উদ্দিন বলেন, স্বাধীন দেশে শিক্ষাঙ্গনে লাশের মিছিল আমরা দেখতে চাই না।
মেধাবী কোন ছাত্রকে হারাতে চাই। আমরার চাই না আর কোন পিতা-মাতা সন্তানহারা হোক। বার বার কেন শিক্ষার্থীর রক্তে রঞ্জিত হওয়া স্বাধীন-গণতান্ত্রিক দেশের জন্য কলঙ্ক। মানুষ হওয়ার পরিবর্তে খুনি কেন হচ্ছে আমাদের সন্তানরা? কেন তারা অমানুষ হয়ে যাচ্ছে, মানুষকে নির্দয়ভাবে খুন করতেছে। কাদের আশ্রয়ে এসব অপকর্ম হচ্ছে, তা চিহ্নিত করার সময় এসেছে। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে চেরাগিপাহাড় মোড়ে সমাপ্ত হয়।