
চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে এপার-ওপার বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতির অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভা, সংবর্ধনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সংগঠনের সভাপতি বাবুল কান্তি দাশের সভাপতিত্বে গতকাল ৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর সুপ্রভাত স্টুডিও হলে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আগরতলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও বাচিকশিল্পী ড.মুজাহিদ রহমান। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, ইউএসটিসির প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ডাঃ প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.সুকান্ত ভট্টাচার্য, এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সাহিত্যিক তহুরিন
সবুর ডালিয়া, আগরতলার বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী শিউলী বেগম, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি লায়ন মোঃ জাফর উল্লাহ এমজেএফ, লেখক এম.এ সবুর, ক্রীড়া সংগঠক শরফুদ্দিন চৌধুরী রাজু, নাট্যজন সজল চৌধুরী, রাজনীতিবিদ ও সাবেক ছাত্রনেতা আবুল বশর, সাংবাদিক সুজিত কুমার দাশ, কবি আশীষ সেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবালের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকার ফাতেমা আক্তার, মুক্তিযোদ্ধা এম এ ছালাম, লিয়াকত হোসেন, ডা: রতন চক্রবর্তী, অমর দত্ত, রতন দাশগুপ্ত, আগরতলা থেকে আগত কবি তাবাসসুম কবির, এড. সৈকত রহমান, সংগঠক কবি সজল দাশ, এম নুরুল হুদা চৌধুরী, কানু রাম দে, নারায়ন দাশ, সুমন চৌধুরী, ছড়া, কবিতা ও সংগীতে অংশ নেন তালুকদার হালিম, স য় কুমার
দাশ, নিলুফার জাহান বেবি, শিউলী বেগম, নারায়ন দাশ, হারাধন চৌধুরী, কবি আসিফ ইকবাল, শবনম ফেরদৌসি, জান্নাতুল ফেরদৌস সোনিয়া প্রমুখ। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনীতিবিদ মিঠুল দাশগুপ্ত, ছড়াকার আ.ফ.ম মোদাচ্ছের আলী, শিক্ষক বিজয় শংকর চৌধুরী, সংগঠক মতিউর রহমান সৌরভ, নারীনেত্রী শাহিন ফেরদৌসি, প্রফেসর মো: জসিম উদ্দিন, সোহেল তাজ, নোমান উল্লাহ বাহার, সালাউদ্দিন লিটন, বোরহান উদ্দিন গিফারী, পিংকী দে, আব্দুল মন্নান, সৈয়দা মিফতা আহমদ, জনি বড়–য়া, জান্নাতুল মাওয়া কলি, মো: তিতাস, মৃনাল দাশ।
সভায় উদ্বোধক ইতিহাসবিদ ড. মুজাহিদ রহমান বলেন-মানুষকে সৃজনশীল, সংবেদনশীল করবে সাহিত্য -সংস্কৃতি মানবিকবোধে জাগ্রত হতে, ত্যাগ আর সেবার মানসিকতায় উদ্বুদ্ধ হতে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। ভেতরের সৃজনশীলতাকে প্রকটিত করতে আমরা যত বেশী নিজেকে সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চায় নিয়োজিত রাখব তত বেশী সমাজ রাষ্ট্র সমৃদ্ধ হবে। তমসাচ্ছন্ন জগৎ থেকে আলোর পথে অগ্রসর হতে সক্ষম হবো। সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চায় সমাজ থেকে সকল প্রকার কুপ্রভাব দূরীভূত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে
মানবত্মা প্রচন্ড শক্তিতে জেগে উঠে। সভায় বক্তারা বলেন-বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব মর্যাদায় প্রতিষ্ঠায় ভারত-বাংলাদেশের কবি-সাহিত্যিকদেরকে আরো বেশি মননশীল এবং শুদ্ধ চর্চায় মনোনিবেশ করতে হবে। সাহিত্য-সংস্কৃতি পারে মানুষকে আলোকিত এবং মহৎ প্রাণ ব্যক্তিতে রূপান্তর করতে। বক্তারা আরো বলেন-মানবিক এবং সুন্দর সমাজ বির্নিমাণে আমাদেরকে দেশপ্রেমের শিক্ষায় ত্যাগী মনোভাবে কাজ করতে হবে। সভা শেষে আগরতলা থেকে আগত অতিথি ড. মুজাহিদ রহমান, সংগীত শিল্পী শিউলী বেগম, কবি তাবাসসুম কবির, এড. সৈকত রহমান’কে বিশেষ সম্মানা স্মারক প্রদান করা হয়।