
ডেস্ক রিপোর্ট:
মাদক মামলার আসামিদের ধরতে গিয়ে র্যাবের সদস্যদের আটক করে নিয়ে যায় বিএসএফ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।নিজেদের পরিচয় দেয়ার পরেও র্যাব ১১ সিপিসি-২ কুমিল্লার ৩ সদস্য ও ২ সোর্সকে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ভারতীয়দের দ্বারা ব্যাপক নি’র্যাতনের শিকার হয়েছেন তারা। চরম উদ্বেগ-উৎকন্ঠার মাঝে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার আশাবাড়ি সীমান্ত থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ১০ ঘন্টা পর গুরতর আহত অবস্থায় ফেরত দেয় বিএসএফ তাদের। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার আশাবাড়ি সীমান্তের ২০৫৯নং পিলারের ১০ নম্বর গেট এলাকা থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। টানা ১০ ঘন্টা নির্যাতন করার পর পরে বিকাল ৫ টার দিকে ৬০ বর্ডার গার্ড
বাংলাদেশের (বিজিবি) উর্দ্বতন কর্মকর্তা ও বিএসএফের মধ্যে এক ঘণ্টা পতাকা বৈঠকের পর আটক ৩ র্যাব সদস্য ও ২ নারী সোর্সকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। ৩ র্যাব সদস্য হলেন কনস্টেবল রিদান বড়ুয়া, আবদুল মজিদ ও সৈনিক মো: ওয়াহিদ। র্যাবের সঙ্গে থাকা ২ নারী সোর্স হলেন, কুমিল্লার শুভপুরের জাকির হোসেনেরে স্ত্রী লিজা আক্তার ফুফি, সুজানগরের মাইনুদ্দিনের স্ত্রী মনি বেগম। ৬০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সংকুচাইল ক্যাম্পের সুবেদার নুরুল ইসলাম র্যাব ১১’র তিন সদস্য ও সোর্সদের গ্রহণ করেন। র্যাব সদস্যদের কাছে থাকা একটি
পি’স্তল, ১টি ম্যাগজিন, আট রা’উন্ড গু’লি, দুটি হাতকড়া ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। র্যাব ১১’র এসপি মুহিদুল ইসলাম জানান,গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় মা’দক মামলার আসামিকে আটক করে নিয়ে আসার সময় ভারতীয় বিএসএফ ৩ জন র্যাব সদস্যদের আটক করে নিয়ে যায়। বিজিবির সংকুচাইল ক্যাম্পের সুবেদার নুরুল ইসলাম জানান, আশাবাড়ি ভারতীয় অংশে বাড়ি দুলা মিয়ার ছেলে আবুল খায়েরকে আটক করতে যায় র্যাব ১১’র একটি টিম। ওই বাড়িটি নো-ম্যানস ল্যন্ডের ১ শ গজের বাইরে ভারতীয় অংশে। আবুল খায়েরকে আটক করে নিয়ে আসার সময় স্থানীয় ভারতীয় লোকজন র্যাব সদস্যদের আটক করে বিএসএফকে খবর দেয়। বিএসএফ সদস্যরা র্যাব সদস্য ও সোর্সদের তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। অভিযোগ উঠেছে
আটকের পর তাদের চোখ বেধে বেধড়ক মা’রধর করা হয়। র্যাবের ৩ সদস্যার মধ্যে দুই জন পুলিশের সদস্য এবং একজন সেনাবাহিনীর সদস্য। অন্য একটি সূত্র জানায়, আশা বাড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকে জলিল ও হাবিলের বাড়িতে যায় র্যাবের দুই নারী সোর্স। তাদের বাড়িতে গিয়ে দুই সোর্স মা’দক সেবন (ফে’নসিডিল) শেষে মা’দক ক্রয় করতে চাইলে তারা বিক্রি করতে রাজি হয়। পরে পাঁচ লাখ টাকার জা’ল টাকা নিয়ে ভারতের ২০৫৯ পিলালের ১০ গজ ভিতরে ঢুকে ব্যবসায়ী জলিল ও হাবিলকে আটকের চেষ্টা করে র্যাব। এসময় তাদের আটক করে ভারতীয়রা।সকালে র্যাব সদস্যদের আটকের পর বেলা ১১টার সময় বিএসএফকে আনুষ্ঠানিক ভাবে চিঠি দিয়ে পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ জানায় বিজিবি। এতে সাড়া দেয় বিএসএফ। প্রায় ১০ ঘণ্টা
অপেক্ষার পর বিকাল ৪টায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার আশাবাড়ি সীমান্তের ২০৫৯ নম্বর পিলার সংলগ্ন এলাকায় এক ঘণ্টা পতাকা বৈঠকের পর তিন র্যাব সদস্য ও দুই সোর্সকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। এসময় র্যাব সদস্যদের অসুস্থ দেখাচ্ছিল বলে জানায় স্থানীয় সাংবাদিকরা। পতাকা বৈঠকে র্যাব ১১, ৬০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কুমিল্লা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাজাহান চৌধুরী। র্যাব সদস্যরা বলেন আমরা পরিচয় দেওয়ার পরেও নির্যাতন বেশি করেছেন আমাদের উপর।