
গত ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারের উদ্যোগে দিনব্যাপী নগরীর জে.এম সেন হল প্রাঙ্গণে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দান ও ভদন্ত বজিরানন্দ থেরকে মহাথের বরণ উৎসব অনুষ্ঠান বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার উপ-সংঘ নায়ক ভদন্ত বনশ্রী মহাথেরর সভাপতিত্বে, রেবা বড়–য়া ও সূর্য্যসেন বড়–য়া শঙ্কুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। অষ্ট-উপকরণ দান, মহতী সংঘদান ও সদ্ধর্মসভায় শিক্ষক দীপংকর বড়–য়া ও অজিত বড়–য়ার প শীল প্রার্থনার মাধ্যমে ধর্মসভার অনুষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করা হয়। দান সভায় উদ্বোধনী ভাষণ প্রদান করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ ও বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার সহ-সভাপতি ভদন্ত জ্ঞানানন্দ মহাথের। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী
আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-আওয়ামীলীগ উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডক্টর প্রণব কুমার বড়–য়া, কৃষিবিদ পুষ্পেন্দু বড়–য়া, তরুণ সমাজসেবক ফরহাদুল ইসলাম চৌধুরী রিন্টু, সদ্ধর্মসভায় ধর্মদেশনা করেন-বোধিমিত্র মহাথের, সোভিতানন্দ মহাথের, অধ্যাপক উপানন্দ মহাথের, প্রিয়দর্শী মহাথের, বিপসসী মহাথেরসহ পূজনীয় ভিক্ষুসংঘদ্বয়। দায়ক সংঘ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন-জামালখান ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিথুন বড়–য়া, স্বদেশ কুসুম চৌধুরী, বিনয় ভুষন বড়–য়া, প্রকৌশলী বিধান চন্দ্র বড়–য়া, অলক বড়–য়া বিটু, উত্তম কুমার বড়–য়া, প্রণব রাজ বড়–য়া, লোকপ্রিয় বড়–য়া, তাপস কুমার বড়–য়া, অমলেন্দু বড়–য়া, প্রকৌশলী
পলাশ বড়–য়া, আশিষ বড়–য়া জুয়েল, শুভ্র মনিয়াম বড়–য়া, রূপম বড়–য়া, স¤্রাট বড়–য়া প্রমুখ। ধর্ম সভায় ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া বলেন-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যাচ্ছেন। সেটি হচ্ছে সকল মানুষের কল্যাণ, সকল ধর্মের সমান অধিকার ও মর্যাদাকে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার নীতির সাথে গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশে প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান আজ সামাজিক সম্প্রীতির অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। দেশে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। ড. প্রণব কুমার বড়–য়া বলেন-গৌতম বুদ্ধের জীবনের অন্যতম
ঐতিহাসিক কীর্তি হলো ভিক্ষুসংঘ প্রতিষ্ঠা। এরকম সংঘ সদস্যরা সম্মানিত হলে আমরা আনন্দভোগ করি। মহাথের বরণ এবং সংবর্ধনা অনুষ্ঠান তেমনি একটি ঘটনা যা ভিক্ষুদের প্রাণীত করে এবং অধিকতর প্রত্যেয়ে বহুজন হিতায়, বহুজন সুখায়, আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নিজেদের অধিকতর প্রত্যয়ে উৎসর্গ করেন। আমি এই পদে অভিসিক্ত শ্রদ্বেয় বজিরানন্দ মহাথেরকে শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ভদন্ত বজিরানন্দ থেরকে অভিধা প্রদানের মাধ্যমে মহাথের হিসাবে বরণ করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভা এবং দায়ক সংঘের পক্ষ থেকেও সংবর্ধিত করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে ধর্মীয় নাটক ‘রাজা সম্ভুমিত্র’ ম স্থ হয়।