এম.সাদ্দাম হোসাইন সাজ্জাদ, চট্টগ্রাম:
নগরীর চান্দগাঁও পূর্ব ষোলশহরে আদালতের জারি করা ১৪৫ ধারা অমান্য করে গোলজার বেগম (৫০) স্বামী শামসুল আলম, পিতা মরহুম আবদুল সালাম, (সাং হাজী মিন্নাত আলীর বাড়ি, ৬ নং ওয়ার্ড, পূর্ব ষোলশহর, ডাকঘর চকবাজার, চট্টগ্রাম) এর জমি দখলে নেওয়ার চেষ্ঠা করছে একই এলাকার বাসিন্দা মনির আহমদ(৫০) । এই জবর দখলে সহায়তা করছে চান্দঁগাও থানার পুলিশ এমন অভিযোগ তোলেছেন জায়গার প্রকৃত মালিক গোলজার বেগমরা। ভুক্তভোগীরা বলেন, জবর দখলকারী মনির আহামদ ধনে-জনে বলিয়ান, টাকার জোরে থানার বড় কর্তাকে বশে নিয়ে জোরপূর্বক ভবণ নির্মাণ করছে। জানা যায়, গোলজার বেগমের জেঠাত ভাই পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ১ গন্ডা ১ খরা জমি। পরে তিনি মনির আহমদের কাছে তার ১ গন্ডা জমি বিক্রি করে দেয়। কিন্তু
মনির আহমদ মোহাম্মদ ইউসুফের বিক্রিত জমি বুঝে না নিয়ে গোলজার বেগমদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া আর.এস জরিপের ৮৫১ নং খতিয়ানের আর.এস ১৩০৩/১৩৩৮ ও ১৩৪১ দাগাদির সামিল বি.এস নামজারী ২৪৬/৩ নং খতিয়ানের বি.এস ৩১৩৪/৩১৩৬ দাগাদির আন্দর ০৩.৫ শতক বা ০৩০৫ শতাংশ বাড়ি ভিটি খাই ভূমি চতুর্দিকে পাকা বাউন্ডারিযুক্ত, যা গোলজার বেগম গং-এর স্বত্ত্ব দখলীয় তা জোরপূর্বক দখলে নেয়।প্রার্থীক গোলজার বেগম গং-এর পাওয়া ৩.৫ শতাংশ জমি থেকে ১ গন্ডা জমি জোরপূর্বক দখলে নেয় যা ১৪৫ ধারার মামলার ২৪৬ খতিয়ানে তাদের দখলীয় জমি বলে উল্লেখ আছে।অভিযোগ উঠে প্রভাবশালী মোহাম্মদ মনির আহমদের হুমকিতে প্রার্থীক গোলজার বেগম গং-রা ভয়ের মুখ খুলতে সাহস না পেলেও এলাকার সর্দারকে নিয়ে
কয়েকবার বৈঠক বসে। কিন্তু মনির আহমদ তাদের এলাকার কাউকে পরোয়া না করে বিশাল অংকের টাকা দিয়ে চান্দগাঁও থানার ওসিকে হাতে নেয়।এ ব্যাপারে এলাকার কয়েকজন লোকজন বলেন, তাদের চোখের সামনে আইন আদালত উপেক্ষা করে মনির আহমদ, গোলজার বেগমদের জমি দখলে নিয়ে ভবন নির্মাণ করছে যার সিডিএ’র কোন অনুমোদনও নেই । এইদিকে মনির আহামদ ৩১/০৫/২০০০সালে ১১৮১ নং দলিল মূলে আবুল কাশেম হতে ১ গন্ডা, ও ১৫/০৯/২০০২সালে ২১১৬ নং দলিল মূলে পাখিজা খাতুন প্রঃ লায়লা বেগম হতে ১ গন্ডা জমি ক্রয় করেন। মনির আহামদের খরিদা জমি বাদ দিয়ে গায়ের জোরে অসহায় বয়ষ্ক মহিলাদের জমি দখলে নেওয়ার চেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছে মনির আহামদ। অসহায় ভুক্তভোগী মহিলারা বলেন, গত ১ ডিসেম্বর
২০১৯ ইং তারিখ দুপুর ১টার সময় চান্দগাঁও থানা পুলিশ দখলবাজ মনির আহামদের ইশারায় শহর বানু (৬০) ও তার ছেলে সুমন (২৫) কে ধরে এনে রাত দেড়টায় মনির আহামদের দালান নির্মানে কোন প্রকার বাধা না দেওয়ার শর্তে লিখিত নিয়ে ছেড়ে দেয়। থানায় আটক অবস্থায় তাদের মানষিক নির্যাতন করেছে বলেও তারা অভিযোগ করেন। এই ব্যাপরে চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে জানতে চাইলে তিনি আটকের ঘঠনা স্বীকার করে বলেন, একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের ধরে আনা হয়েছিল পরে উভয় পক্ষের আপোষের ভিত্তিতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।