বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়িতে আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শফিউল্লাহ এবং জেলা সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা কর্তৃক পর্যটনের নামে ১১টি গ্রামের অধিবাসী চাক ও মারমা জাতিসত্তাদের ভূমি বেদখলের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে আজ ৭ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩ ঘটিকায় তিন গণতান্ত্রিক সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন-এর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে পিসিপি’র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক ও মিটন চাকমা’র সঞ্চালনায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের মহানগর শাখা সহ-সভাপতি শুভ চাকের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পিসিপি’র চবি শাখা সভাপতি, ত্রিরতচাকমা, প্রগতিশীল মারমা ছাত্র সমাজ (প্রমাছাস)-এর
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সংগঠক, উজ্জ্বল মারমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন-এর মহানগর শাখা সদস্য সচিব, রিতা চাকমা প্রমুখ।বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শফিউল্লাহ ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা গনবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। উন্নয়নের নামে ১১টি গ্রামের চাক ও মারমা জাতিসত্তাদের ভূমি কেড়ে নিয়ে উচ্ছেদের গভীর ষড়যন্ত্র করছে। বক্তারা অনতিবিলম্বে, পর্যটনের নামে পাহাড়ি উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানিয়েছে। উল্লেখ্য, বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়িতে আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শফিউল্লাহ ও জেলা পরিষদের
চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা’র কর্তৃক পর্যটন প্রকল্পের কারণে ২৭০ নং নাইক্ষ্যংছড়ি মৌজা, ২৭২নং জারুলিয়া মৌজা ও ২৬৯ নং সোনাইছড়ি মৌজা জুম খোলা ও ক্যকরোপসহ ১১টি পাড়া চাক ও মারমা অধিবাসীরা উচ্ছেদ আতংকে দিন কাটাচ্ছে। উক্ত জায়গায় ৩ কোটি ১০ লক্ষ টাকায় প্রকল্পের আওতায় ১০০ একর অধিক ভূমি বেদখল করা হয়েছে। যার ফলে ছাংগ্যাই, নীলগিরি, চিম্বুক, সাজেকের মত নাইক্ষ্যংছড়িতেও উচ্ছেদের আশংকা বিরাজ করছে।