
হাসান আহমদ:
জনগনের সেবা করার শপথ নিয়ে যে জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতায় আছেন, এই মহা দুর্যোগে তাদের দেখা পাচ্ছে না জনগন। কাজ নেই, ঘরে বন্দি, খাবার নেই, ঔষধ নেই, চিকিৎসা সরাঞ্জম নেই, হাসপাতালে ডাক্তার নেই। স্থানীয় নির্বাচনে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের পূর্বে দলীয় মনোনয়ন পেতে কিংবা দলের জন্য ভোট প্রার্থনা করতে জনগনের দোড় গোড়ায় প্রধান দুই দলের রাজনৈতিক নেতা ঘুরে বেড়িয়েছেন।কিন্তু দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে ঘরে বন্দী বেকার, দুস্থ অসহায় মানুষদের পাশে নেই তারা। চরম বিপাকে পড়া মানুষগুলো এখন জনপ্রতিনিধিদের দেখা না পেয়ে চরম হতাস হয়ে পড়ছে। এভাবে জনগনকে বিপদে রেখে নিজেদের প্রান বাঁচাতে আত্মগোপনে থাকা জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ঝেড়েছেন অনেকেই।
সরকার করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন হবার পরপরই অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। বন্ধ করে দেয়া হয় দরিদ্র মানুষের একমাত্র জীবিকা আহরণের পথটুকুও। তবে জনগনের স্বাস্থ্য বিবেচনায় এ দুর্ভোগ সবাই মেনে নিয়েছে। আর সরকারও দরিদ্র মানুষের পাশে দাড়াবার অঙ্গিকার করেছে। কিন্তু এই ছিন্নমুল মানুষের পাশে সরকারের পক্ষ হয়ে যাদের দাড়াবার কথা সেই জনপ্রতিনিধরাই উধাও হয়ে গেছে। কাজ করার অঙ্গীকার দিয়ে তারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন আরও নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও ওসবের কোনো বাস্তবায়ন ঘটেনি। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে জনপ্রতিনিধিরা সাধারন মানুষের পাশে থাকবে এটাই প্রত্যাশা করে দেশের খেটে খাওয়া মানুষ।