
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
টুইটার কর্তৃপক্ষ তার পোস্টে ‘ফ্যাক্ট চেক’ অর্থাৎ সত্যতা যাচাইয়ের লেবেল সেঁটে দেওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ওপর রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ আরোপের জন্য নির্বাহী আদেশ জারির মাধ্যমে যে হুমকি দিয়েছেন তার জবাব দিয়েছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জায়ান্ট ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাকারবার্গ বলেছেন, ‘সেন্সরশিপ নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকারের পক্ষে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এসব প্ল্যাটফর্ম সেন্সর করা সঠিক প্রতিচ্ছবি হবে না।’ ফক্স নিউজে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাহী আদেশে জারির মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে ফেসবুক টুইটারের মতো কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা দেয়া হবে। নির্বাহী আদেশে সই করার আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব সামাজিক মাধ্যমকে ‘নিয়ন্ত্রণহীন শক্তি’ বলে অভিহিত করেছেন।মার্ক জাকারবার্গ এ নিয়ে বলেছেন, ‘আমাকে বুঝতে হবে—তারা আসলে কী করতে চায়। তবে সাধারণভাবে আমি মনে করি, সরকার প্ল্যাটফর্ম সেন্সর করা বেছে নিচ্ছে কারণ তারা সেন্সরশিপ নিয়ে উদ্বিগ্ন ।
আমার কাছে এটি সঠিক কোনো পদক্ষেপ হিসেবে মনে হচ্ছে না।’ যুক্তরাষ্ট্রের কমিউনিকেশন ডিসেন্সি অ্যাক্টের ২৩০ ধারায় আওতায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো আইনিভাবে আত্নরক্ষার সুযোগ পায়। আইনটির এই ধারার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সাধারণত তাদের ব্যবহারকারীদের কোনো পোস্টের জন্য দায়বদ্ধ নয়।তবে ‘গুড সামারিটান ব্লকিং’– যেমন সহিংস, অশ্লীল, হয়রানিমূলক বা হিংসাত্মক বিষয় মুছে ফেলতে পারবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাক্ষরিত নির্বাহী আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো সামাজিক নেটওয়ার্ক যদি ব্যবহারকারীদের পোস্ট সম্পাদনা করে, তবে এই আইনি দায়বদ্ধতা প্রযোজ্য নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ওই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে মার্কিন কংগ্রেস থেকে ধারা ২৩০ ‘অপসারণ বা পরিবর্তন’ করার জন্য আইন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা জানান, ট্রাম্পের এ নির্বাহী আদেশ আইনি বাধার মুখে পড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।