
কঠোর লকডাউনে বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সে চেপে বসেন একদল নারী-পুরুষ। ভেবেছিলেন রাতের অন্ধকারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে। কিন্তু এর আগেই বাঁধা হয়ে দাঁড়ালো বেরসিক পুলিশ। থামানো হলো অ্যাম্বুলেন্সটি। দরজা খুলে একে একে নামানো হলো ১২ নারী-পুরুষকে।রাত হয়ে যাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের। তবে আইন ভঙ্গের দায়ে অ্যাম্বুলেন্স চালককে দেয়া হয় মামলা।বৃহস্পতিবার(১ জুলাই) রাতে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট মোড়ে এ ঘটনাটি ঘটে।নগর পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট মোহাম্মদ সাহেদ বলেন, বহদ্দারহাট মোড়ে চেকপোস্টে একটি অ্যাম্বুলেন্সকে থামানোর সংকেত দেয়া হয়।
পরে অ্যাম্বুলেন্সের দরজা খুলতেই দেখা যায় ভেতরে নারী-পুরুষে ভর্তি। ১২ জন নারী-পুরুষ চকবাজার মেডিকেল কলেজ স্টাফ কোয়ার্টার থেকে রওনা হয়ে নতুন ব্রিজ যাচ্ছিলেন। তারা সবাই বিয়ের বরযাত্রী। ওই সময়ে কোনো ভ্রাম্যমাণ আদালত না থাকায় লকডাউনের আদেশ অমান্যের দায়ে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। তবে অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।এর আগে, সকালে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জারটেক এলাকায় যাত্রী বহনের দায়ে একটি অ্যাম্বুলেন্সকে আটক করে পুলিশ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চালককে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুকান্ত সাহা।