
ঝিনাইদহে সার সংকট, বিপাকে কৃষক! আমনের ভরা মৌসুমে ঝিনাইদহে দেখা দিয়েছে রাসায়নিক সারের সংকট। এতে করে ব্যহত হচ্ছে ধানের আবাদ। উপায় না পেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ইউরিয়া, টিএসপিসহ অন্যান্য সার। খোলা বাজারে সার বিক্রিসহ দ্রুত এ সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা। সরেজমিনে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা গেছে কেউ পাট কেটে ভাদ্র মাসেও জমি প্রস্তুত করছে, কেউ বা পাট কেটে ধানের চারা রোপন শুরু করছেন। আবার কেউ আগেই জমিতে ধানের চারা রোপন করেছেন।
ধানের চারা রোপনে দিন কাটছে এসব এলাকার কৃষকদের। একই ভাবে জেলার ৬ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে মাঠে চলছে আমন ধান রোপনের কাজ। কোনো জমিতে চলছে রোপন আবার কোন জমিতে ছিটানো হচ্ছে রাসায়নিক সার। আমনের ভালো ফলন পেতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন কৃষকদের সাথে শ্রমিকেরাও। কৃষকেরা জানান এবার এই জেলায় প্রয়োজন অনুযায়ী বৃষ্টির পানি হচ্ছে না।
ঝিনাইদহে সার সংকট বিপাকে কৃষক তাই আমন মৌসুমেও ধানের জমিতে ইঞ্জিন চালিত স্যালো ও বিদ্যুৎ চালিত মটর দিয়ে পানি দিতে হচ্ছে। অপরদিকে শুরু হয়েছে সার সংকট। অনেকের প্রয়োজন বস্তা বস্তা সারের। সেখানে দেওয়া হচ্ছে আধাবস্তা সার। আবার কারও কারও ১০ কেজি করে ইউরিয়া সার দিচ্ছে। আর ফসফেট সার তো বাজারে পাওয়ায় যাচ্ছে না। কৃষকেরা অভিযোগ করে আরো জানান, ডিলাদের ঘরে গেলে বলছে গোডাউনে সার নেই।
কিন্তু গ্রাম পর্যায়ে হাট-বাজারে খুচরা সার বিক্রেতাদের ঘরে গিয়ে কেজি প্রতি ৫ টাকা বেশি দিলেই প্রয়োজন অনুযায়ী সার দিচ্ছে। এ বিষয়ে সার ডিলার ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাফার গোডাউন থেকে আমাদের বরাদ্দ বাড়িয়ে দিলেই কোন সমস্যা থাকবে না। বেশি দাম দিয়ে সারও কিনতে হবে না কৃষকদের। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ কম। সে কারণেই দেখা দিয়েছে এ সংকট। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।