
সেন্টমার্টিনে করোনার টিকা নিলেন ১ হাজার ৮৩৫ জন, সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার টিকা দেওয়া হলেও সাগর উত্তাল থাকায় পর্যটন এলাকা সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা এত দিন করোনা ভাইরাসের টিকা পাননি। তারই ধারাবাহিকতায় আবহাওয়া ভালো হওয়ার টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।রোববার (৩ অক্টোবর) ও সোমবার (৪ অক্টোবর) দুই দিনে টিকা পেয়েছেন ১ হাজার ৮৩৫ জন নারী-পুরুষ।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, টেকনাফ উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ থাকলেও সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছাড়া বাকি ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে গত ৭ জুলাই ৩ হাজার নারী-পুরুষ (প্রথম ডোজ) ও ৭ আগস্ট ৩ হাজার ব্যক্তিকে (দ্বিতীয় ডোজ) এবং ২৮ সেপ্টেম্বর ৭ হাজার ৫০০ ব্যক্তিকে (প্রথম ডোজ) টিকার আওতায় আনা হয়েছে।রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৬ সদস্যের একটি চিকিৎসক দল সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১০ শয্যার হাসপাতালে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে।
সেন্টমার্টিনে করোনার টিকা নিলেন ১ হাজার ৮৩৫ জন উপজেলার করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ।স্বাস্থ্য কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র শীল বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা ১২ হাজারের মতো। এ পর্যন্ত এই দ্বীপে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।
নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করে রোববার ও সোমবার ১ম ডোজে ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে ১ হাজার ৮৩৫ জন নারী-পুরুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। যারা নিবন্ধন করেননি, তাদের জরুরি ভিত্তিতে নিবন্ধন করিয়ে টিকার আওতায় আনা হচ্ছে।ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, চলতি মাসেই পর্যটন মৌসুম শুরু হচ্ছে। করোনার টিকা নিয়ে দ্বীপের মানুষের ধারণা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত।