
অভিনব কায়দায় বিদ্যুৎ চুরি গাইবান্ধা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধীন নেসকোর দুই ডিভিশনে শতকরা প্রায় ৪১ ভাগ বিদ্যুৎ সিস্টেম লসের খাতায়। মিটার সচল থাকলেও ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিল ওঠে না। অটোরিকশা, বিভিন্ন মিল, কলকারখানা এমনকি বাসাবাড়িতেও অভিনব কায়দায় উঠেছে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ।সব মিটারই বিশেষ পদ্ধতিতে টেম্পারিং করা হয়েছে দাবি করে অভিনব চুরি ঠেকাতে তৎপর বলে জানায় বিদ্যুৎ বিভাগ।গাইবান্ধা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দুই ডিভিশনে শতকরা প্রায় ৪১ ভাগ বিদ্যুৎ এখনো সিস্টেম লসের খাতায়।
তার মধ্যে আবার পড়েছে চোরের হাত। তাও আবার অভিনব চুরি। মিটার সচল থাকলেও অদৃশ্যই থেকে যায় ব্যবহৃত বিদ্যুৎ। তবে অভিনব এই চুরি ঠেকাতে তৎপর বলে দাবি বিদ্যুৎ বিভাগের।গাইবান্ধা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিষ্ঠান নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি-নেসকোর ডিভিশন-১ ও ২ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় জব্দকৃত মিটারের স্তূপ।সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈদ্যুতিক মিটারগুলোর সিল ভেঙে খোলার পর ভেতরে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে টেম্পারিং করা হয়। যার ফলে মিটারের চাকা ঘুরলেও ব্যবহৃত বিদ্যুৎ মিটারে দৃশ্যমান হয় না।
গত কয়েক মাসের অভিযানে এমন মিটার জব্দ ও সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে গাইবান্ধা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-নেসকোর এক ও দুই ডিভিশন কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের বাইরের অসৎ ইলেকট্রিশিয়ানদের সাহায্যে অভিনব কায়দায় বিদ্যুৎ চুরির এসব ঘটনা ঘটছে ।গাইবান্ধা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগ, নেসকো-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইমদাদুল হক জানান, তারা গ্রাহকদের কাছে বারবার অনুরোধ করছেন, যে কোনো প্রয়োজনে তারা যেন সরাসরি বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বাইরের কোনো ইলেকট্রিশিয়ান যেন মিটারে হাত না দেয়।
গ্রাহকদের যে কোনো সেবার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের হটলাইনে জানানোর অনুরোধ করে তিনি বলেন, এরপরও কেউ যদি অসদুপায় অবলম্বন করে বিদ্যুৎ চুরির চেষ্টা করে তাকে আইনের আওতায় জরিমানা ও শাস্তি ভোগ করতে হবে।বিশেষ পদ্ধতিতে বাসাবাড়ি কিংবা কলকারখানায় মিটার টেম্পারিং জীবনের জন্য চরম ঝুঁকি দাবি করে বিদ্যুৎ চুরি ঠেকাতে জনসচেতনা সৃষ্টির প্রতি জোর দেন গাইবান্ধা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগ, নেসকো ১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসিফ।
তিনি বলেন, যারা বিদ্যুৎ চুরির অপচেষ্টা করছে পক্ষান্তরে তারা নিজের ও দেশের সম্পদ চুরি করছে। শুধু তাই নয়, মিটার টেম্পারিং করতে গিয়ে যে কোনো সময় বড় ধরনের বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে।তিনি আরও বলেন, গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে মিটার টেম্পারিং করে বিদ্যুৎ চুরি ঠেকাতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বদ্ধপরিকর।