
মাওলানা রুমী পথহারা মানুষের পদপ্রর্দশক “মানবতাবাদী কবি মাওলানার রুমীর কন্ঠে অনুরণিত হয়েছে মানুষের জয়গান।’ তিনি সত্যিকার ইসলামী দর্শন সূফীবাদকে প্রতিষ্ঠতা করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর মাসনভী হয়ে উঠে মানুষের অন্ধকার রজনীর আলোকবর্তিকা; পথহারা মানুষের পদপ্রর্দশক। দুনিয়ার শৌর্যবীর্য পরিহার করে মহান আল্লাহ তাআলা প্রতি অকৃত্রিম মুহাব্বতের চর্চা করেছেন মাওলানা রুমী।
অধ্যাত্মবাদের প্রাণকেন্দ্র মাইজভাণ্ডার দরবারেও সেই মানবতাবাদের পতাকা উড্ডীন রয়েছে।” রিপাবলিক অব টার্কি’র বাংলাদেশ দূতাবাস, টার্কি অনারারী কনসাল জেনারেল অব চিটাগাং এবং ‘শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট’-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সুফি সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।‘মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন’ উপলক্ষে নগরীর জাকির হোসেন রোডস্থ ‘খুলশী কনভেনশন হল’
(কর্ণফুলী হল)-এ “Roadmap to sustainable peace: Maulana Jalaluddin Rumi’s Path” শীর্ষক সেমিনার ও সুফি সংগীতানুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, রিপাবলিক অব টার্কি’র বাংলাদেশ এম্বেসির অ্যাম্বাসেডর এইচ ই মোস্তফা ওসমান তুরান। সভাপতিত্ব করেন মাইজভাণ্ডার শরিফ গাউসিয়া হক মনজিলের সম্মানিত সাজ্জাদানশীন ও শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি আওলাদে রাসূল হযরত শাহ্ সুফি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম. জি. আ.)।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির মুক্তির দিশারী। তার অসামান্য নেতৃত্ব, দূরদর্শীতা ও সুমহান ত্যাগের কারণে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অশেষ শ্রদ্ধা জানাই।পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তুরস্কের অনারারী কনসাল জেনারেল অব চিটাগাং জনাব সালাউদ্দিন কাসেম খান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. মাওলানা মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ্।প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।