খাগড়াছড়ি জেলার ইতিহাস নিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন খাগড়াছড়ি, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের একটি অন্যতম জেলা, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত। এই জেলার ইতিহাস প্রাচীন ও সমৃদ্ধ, যা বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সহাবস্থান ও সংস্কৃতির মিশ্রণে গড়ে উঠেছে।

খাগড়াছড়ি অঞ্চলটি প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। এখানে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, বম, পাংখোয়া ও অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। এই অঞ্চলটি ব্রিটিশ শাসনামলে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার অংশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমল:
ব্রিটিশ শাসনামলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে একটি পৃথক প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে গঠন করা হয়। ১৮৬০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাকিস্তানের অংশ হয়, কিন্তু এখানকার আদিবাসী জনগণের অধিকার ও স্বায়ত্তশাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়:
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর খাগড়াছড়ি পার্বত্য চট্টগ্রামের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে, এই অঞ্চলে আদিবাসী জনগণের অধিকার ও ভূমি নিয়ে সংঘাতের সূত্রপাত হয়। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই সংঘাতের অবসান ঘটে এবং খাগড়াছড়ি জেলা শান্তি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যায়।
সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য:
খাগড়াছড়ি জেলার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এখানকার প্রধান আকর্ষণ। বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, উৎসব ও ঐতিহ্য এই অঞ্চলকে অনন্য করে তুলেছে। বিজু, সাংগ্রাই, রাস উৎসব এখানকার প্রধান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:
খাগড়াছড়ি জেলার ইতিহাস নিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন খাগড়াছড়ি জেলা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে রয়েছে সবুজ পাহাড়, নদী, ঝরনা ও বনাঞ্চল। আলুটিলা, রিচাং লেক, হাজাছড়া ঝরনা এবং সাজেক ভ্যালি পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় স্থান।
উপসংহার: