নোয়াখালী জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নোয়াখালী, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা, যার ইতিহাস সুপ্রাচীন ও গৌরবময়। এই জেলার নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। কথিত আছে যে, এ অঞ্চলে এক সময় নৌকায় চলাচল করা হতো এবং “খাল” বা জলপথ ছিল প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম। তাই “নোয়া” (নৌকা) ও “খাল” শব্দ দুটি মিলে নোয়াখালী নামের উৎপত্তি হয়েছে।

নোয়াখালীর ইতিহাসে ব্রিটিশ শাসনামল ও ভারত বিভাজনের সময়ের ঘটনাবলি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ১৯৪৬ সালে নোয়াখালীতে সংঘটিত দাঙ্গা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। এই ঘটনার পর মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালী সফর করেন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
নোয়াখালী জেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নোয়াখালীর বীর জনতা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সাহসিকতার সাথে লড়াই করে। এ জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে।
নোয়াখালী তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নদী, খাল ও সমুদ্রসৈকতের জন্য বিখ্যাত। এখানকার সংস্কৃতি ও লোকজ ঐতিহ্য বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিচয়কে তুলে ধরে। বর্তমানে নোয়াখালী শিক্ষা, কৃষি ও মৎস্য চাষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
নোয়াখালীর ইতিহাস শুধু একটি জেলার গল্প নয়, এটি বাংলাদেশের সংগ্রাম, ঐতিহ্য ও উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি। এই জেলার মানুষ তাদের অতীত গৌরবকে ধারণ করে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।