
বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদ কর্তৃক ৮৯ তম যুব বিদ্রোহ দিবস উপলক্ষে চেরাগী পাহাড় মোমিন রোডস্থ সুপ্রভাত স্টুডিও হলে পরিষদের সভাপতি প্রধান শিক্ষক অঞ্জন কুমার চৌধুরীর সভাপতিত্বে গত ১৮ এপ্রিল’১৯ইং সন্ধ্যা ৭টায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ চিন্তাবিদ অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্ত্তী, প্রধান বক্তা প্রীতিলতা ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পংকজ চক্রবর্ত্তী, পরিষদের পৃষ্ঠপোষক অধ্যক্ষ রুনু মজুমদার। পরিষদের অর্থ সম্পাদক তপন ভট্টাচার্য্যরে স ালনায় বক্তব্য রাখেন দীপঙ্কর চৌধুরী কাজল, সাবেক
প্রধান শিক্ষক বিজয় শংকর চৌধুরী, বিপ্লবী দীপ্তিমেধা চৌধুরীর সন্তান নন্দন কিশোর চৌধুরী, বিপ্লবী কালীপদ চক্রবর্ত্তীর সন্তান বিভূ ভট্টাচার্য্য, সিনিয়র সহ সভাপতি অরুন মল্লিক, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী মানিক, মহিলা সম্পাদক রাজশ্রী মজুমদার, প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ শেখর দত্ত, এম নুরুল হুদা চৌধুরী, পরেশ কান্তি বিশ্বাস, প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুসুম চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক লিটন দাশ, হৃসুক পত্রিকার সম্পাদক মাভৈশ্রী তারানাথ চক্রবর্ত্তী, ডা: নারায়ণ মজুমদার, সজল সিকদার, পরেশ কান্তি বিশ্বাস, স্বপন কুমার চৌধুরী, অশোক চক্রবর্ত্তী লিংকন, সরিৎ চৌধুরী
সাজু, স ম জিয়াউর রহমান, এ এইচ এম তারেক। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল আজকের এ দিনে একটি সুশঙ্খল জাতিগোষ্ঠী বিট্রিশ সামাজ্যবাদের দেড়শত বছরের ইতিহাসকে বিপ্লবী মহানায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের এক দল অসীম সাহসী যুবক দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ধুমরে মুছড়ে মাঠিতে মিশিয়ে দিয়েছিলেন। এ ইতিহাস ধরে রাখার জন্য নতুন প্রজন্মকে আহ্বান জানান। প্রধান বক্তা পংকজ চক্রবর্ত্তী বলেন আমরা সকলে একত্রিত হয়ে বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলনের ঐতিহ্য ও গৌরবময় অগ্নিযুগের ইতিহাস যাতে হারিয়ে যেতে না পারে
সকলকে সজাগ থাকার জন্য আহ্বান জানান। সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সিঞ্জন ভৌমিক বলেন বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী মহানায়ক মাস্টারদা সূর্য সেনের পথ ধরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে স্বাধীন রাষ্ট্রভূমি দিয়েছেন। তিনি প্রতিদিন কোন না কোন দিবস পালন করলেও বাঙালি জাতি বিপ্লবীদের স্মৃতির শ্রদ্ধান্তে কোন দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত না হওয়ায় এটা একটি জাতীয় বিপর্যয় বলে আখ্যায়িত করেন। এ কলঙ্ক থেকে জাতিকে রক্ষা করার জন্য তিনি ৯ দফা দাবী পেশ করেন। ৯ দফা দাবীসমূহ হলো: ১। ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা
আন্দোলনের সকল নেতাকর্মীদের স্মৃতি সংরক্ষণ করতে হবে ২। বিপ্লবী মহানায়ক মাস্টারদা সূর্য সেন ও বিপ্লবী নেতা তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসি দিবস ১২ জানুয়ারিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে হবে। ৩। ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল যুব বিদ্রোহ দিবসকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে হবে ৪। মাস্টারদা সূয সেনের সহযোদ্ধা চট্টগাম কারাগারে ফাঁসির মে বিপ্লবী নেতা তারেকশ্বর দস্তিদারেরর ম্যুরাল নির্মাণ ও পাথরলিপিতে নাম সংযুক্ত করতে হবে ৫। বিপ্লবীদের বাড়ি, জায়গা-জমিগুলো সরকারের উদ্যোগে উদ্ধার করে বিপ্লবীদের নামে স্মৃতিস্তম্ভ ও বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। ৬।
বিপ্লবীদের নামে সরকারিভাবে গেজেট ঘোষণা করতে হবে ৭। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বইয়ে বিপ্লবীদের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ৮। পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাবকে প্রীতিলতা স্মৃতি জাদুঘর ঘোষণা করতে হবে ৯। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদকে বিপ্লবীদের পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করতে হবে। পরিশেষে সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, বিপ্লবীদের মৃত্যু নেই। ইতিহাসের দিকে থাকালে আমরা দেখি যে ইতিহাস থেকে কাউকে সরিয়ে দিতে চাইলে ইতিহাস তাকেই আস্থাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে। ইতিহাস বড় কঠিন। সে কখনো সত্যকে করে না বঞ্জনা।