
কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী কর্ণফুলী পেপার মিল্স এর যান্ত্রিক ত্রুটির ফলে মিটারিং স্টেশনের পাটর্স নষ্ট হয়ে বন্ধ রয়েছে গ্যাস সরবরাহ। ফলে মিলসটিতে ব্যাহত হচ্ছে কাগজ উৎপাদন। গ্যাস না থাকায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক ও জনগণ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম থেকে একটি টিম অবস্থার উত্তরনে কাজ করতে এসে মিলসটির কর্তাদের অসহযোগীতার ফলে অবশেষে ফেরত যান বলে অভিযোগ করেছেন কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান।চট্টগ্রাম গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লি. এর মহা ব্যবস্থাপকরে সাথে
যোগাযোগ করা হলে এই বিষয়ে তিনি জানান, রোববার সকালে কেপিএমের মিটারিং স্টেশনের পাটর্স নষ্ট হওয়ার কারণে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তবে আমরা আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার ইসলাম চৌধুরী বেবি জানান, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ ছিলো। ফলে কাগজ উৎপাদন বন্ধ ব্যাহত রয়েছে। শ্রমিক-কর্মচারী পরিবারের ব্যবহৃত রান্নার চুলাও জ্বলছে না। যে কারণে আবাসিক এলাকা সহ ওই এলাকায় বসবাসকারী শ্রমিক-
কর্মচারীসহ প্রায় পাঁচ’শতাধিক বাসিন্দা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। মিলস কর্তৃপক্ষ রান্নার কাজে হিটার ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। অনেকে হোটেল থেকে খাবার এনে খাচ্ছে। এলাকায় বসবাসকারী স্বাবলম্ভী কয়েকজন সিলিন্ডার কিনে ব্যবহার করতে পারলেও বেশির ভাগ শ্রমিকের পক্ষে সিলিন্ডার কিনা সম্ভব নয়।কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক বলেন, কেপিএমের শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য বেতন ভাতা বকেয়ার ঘটনা যেমনি ভাবে নিত্যদিনের সঙ্গি হয়ে গিয়েছে ঠিক তেমনি বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহও যেন প্রতিদিনের চিত্র হয়ে
দাঁড়িয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে রাঙামাটি সাংসদ, বিসিআইসি সহ বিভিন্ন দপ্তরে জানানোর পাশাপাশি প্রায়ই আইনশৃঙ্খলা সভায় কথা বলে যাচ্ছি। কিন্তু কে শুনে কার কথা? প্রতিমাসে ভাতা দিয়েও আজকাল বিদ্যুৎ, গ্যাস পাচ্ছেনা সিংহভাগ জনগন।এ বিষয়ে জানতে কর্ণফুলী পেপার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড.এম.এম.এ কাদেরের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করেও কোন সাড়া পাওয়া না যাওয়ায় কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেলের কাছে অবস্থার উত্তরণে কার্যকারী পদক্ষেপের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আজ (সোমবার) স্বরেজমিনে গিয়ে সমাধান করতে চেষ্টা করবো।