
বিশ্বকাপ অভিষেকে সেঞ্চুরির পর ফাইনালেও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন অজি ব্যাটার ট্রাভিস হেড। বিশ্বকাপ ফাইনালে রান তাড়ায় এটিই দ্বিতীয় ঘটনা। তার বিধ্বংসী সেঞ্চুরি ইনিংসেই অপ্রতিরোধ্য ভারতকে ঘরের মাঠেই হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই দারুণ পারফরম্যান্সে সুসংবাদ পেলেন হেড।
বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১২০ বলে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে ১৬ ধাপ এগিয়েছেন ট্রাভিস হেড। এক লাফে ৩১ নম্বর থেকে ১৫ নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি। এটিই ওয়ানডে ক্রিকেটে হেডের ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিং।
বিশ্বকাপে খেলা নিয়েই শঙ্কায় ছিলেন ট্রাভিস হেড। ইনজুরির কারণে প্রথম পাঁচটি ম্যাচে খেলতেই পারেননি তিনি। এরপর অবশ্য মাঠে নেমেই হাঁকিয়েছিলেন শতক। তবে ফাইনালের শতকের কারণেই আরও বেশি আলোচনায় হেড। অপ্রতিরোধ্য ভারতের বিপক্ষে অজি ব্যাটিং লাইনআপ যখন কাঁপছিল, তখন পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে খেলার মোড়ই ঘুড়িয়ে দেন তিনি। অরবিন্দ ডি সিলভার পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে রান তাড়ায় শতক হাঁকান। এর আগে সেমিফাইনালেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন তিনি।
এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন বিরাট কোহলি। ২০০৩ সালে শচীন টেন্ডুলকারের ৬৭৩ রানের রেকর্ড ভেঙে এক আসরে সর্বোচ্চ রান করেছেন এবার। করেছেন ৭৬৫ রান। তিনটি শতক ও ৬টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৭ রানের ইনিংস খেলে শচীন টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ ৪৯ ওয়ানডে শতকের রেকর্ড ভেঙেছেন। হয়েছেন বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়। বিশ্বকাপ শিরোপাটা জেতা বাদে সবই এবার জিতেছেন কোহলি। এতো কিছুর পরও র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠতে পারেননি তিনি। এক ধাপ এগিয়ে তিন নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি।
কোহলির মতো রোহিত শর্মাও দারুণ এক বিশ্বকাপ কাটিয়েছেন। করেছেন ৫৯৭ রান। এক ধাপ এগিয়েছেন ভারত অধিনায়কও। উঠেছেন চার নম্বরে। বিশ্বকাপে চার সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়া কুইন্টন ডি কক আছেন পাঁচে।
শীর্ষ দুইয়ে শুভমান গিল ও বাবর আজম জায়গা ধরে রেখেছেন। তবে কোহলির কাছে শিগগিরই জায়গা হারাতে পারেন তারা। বিশ্বকাপে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে খেলতে গিয়ে মাত্র ৩৫৪ রান করেছেন গিল। আর বাবরেরও খুব একটা ভালো কাটেনি বিশ্বকাপ। শীর্ষে থা গিল ও তৃতীয় স্থানে থাকা কোহলির রেটিং পয়েন্ট পার্থক্য ৩৫।
বিশ্বকাপ ফাইনালে হেডকে সঙ্গ দিয়ে অর্ধশতক হাঁকানো মারনাস লাবুশেনও এক লাফে ৩০ নম্বর থেকে ২২ নম্বরে উঠে এসেছেন।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন কেশভ মহারাজ। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে দারুণ বোলিং করে এগিয়েছেন জশ হ্যাজেলউড। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। এক ধাপ পেছালেও সেরা পাঁচেই আছেন মোহাম্মদ সিরাজ। যথাক্রমে তিন ও চারে সিরাজ ও জাসপ্রীত বুমরাহ। পাঁচ নম্বরে আছেন বিশ্বকাপে ২৩ উইকেট পাওয়া অ্যাডাম জাম্পা।
এক ধাপ পিছিয়েছেন কুলদীপ যাদব। তিনি আছেন সাতে। তার সঙ্গে জায়গা অদলবদল করে ছয়ে রশিদ খান। এক ধাপ এগিয়েছেন শাহিন আফ্রিদিও। তিনি আছেন নয় নম্বরে। এক ধাপ পিছিয়ে ১০ নম্বরে নেমে গেছেন বিশ্বকাপের সেরা বোলার মোহাম্মদ শামি।
দুই ধাপ এগিয়েছেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। তিনি আছেন ১২ নম্বরে। ৭ ধাপ এগিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। উঠে এসেছেন ২৭ নম্বরে।