আর এন পাল : বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। দেশের অর্থনীতি এখন বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, আমদানি নিয়ন্ত্রণ ও আর্থিক খাতের ঝুঁকি সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তারপরও বর্তমানে আমাদের দেশে ব্যাপক সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে সরকারের সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও দেশের মানুষের পরিশ্রমী মনোভাব। বর্তমানে ৮০ শতাংশেরও বেশি বাজার দেশি ইলেকট্রনিকস কোম্পানির দখলে এবং অদূর ভবিষ্যতে আরও ভালো হবে বলে আমি আশা করি।
আর এন পাল : ২০২৩ সালে দেশে ৫ লাখ ৩০ হাজার এসি বিক্রি হয়েছে। ২০২৪ সালে ধারণা করা হচ্ছে, সাড়ে ৬ লাখ এসি বিক্রি হবে। প্রতিবছর ১৫-২০ শতাংশ হারে বাজার সম্প্রসারণ হচ্ছে। মানুষের মধ্যে এসি কেনার চাহিদা বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় আমাদের এসি বিক্রির হার বেড়েছে অনেক গুণ। বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি এসি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ইএমআই, সহজ কিস্তি ও ফ্রি ইনস্টলেশনসহ বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছে। ফলে গ্রাহকদের পণ্য ক্রয়ে আগ্রহ বাড়ছে।
আর এন পাল : ভিশন এসিতে বিশুদ্ধ গ্যাস হিসাবে জ৩২ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যা পরিবেশবান্ধব। আর গুণমান ঠিক রাখার জন্য সুপরিকল্পিত উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং সুদক্ষ ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা উৎপাদন করা হয়ে থাকে, যা এসির শতভাগ কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করে। ভিশন এসিতে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী অসংখ্য ফিচার রাখা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো : ১০০% কপার কন্ডেনসার, ডুয়েল ইনভার্টার প্রযুক্তি, টাইটান গোল্ডেন ফিন টেকনোলজি, ইকো ফ্রেন্ডলি রেফ্রিজারেন্ট ‘ডাস্ট ফ্রি’ ও ‘অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া ফিল্টার’, ভয়েস কন্ট্রোল লো নয়েজ টার্ভো কুলিং ফাংশন।
আর এন পাল : বর্তমানে সরকার স্থানীয় পর্যায়ে পণ্য উৎপাদনের ওপর বেশ জোর দিচ্ছে। ফলে স্থানীয় উদ্যোক্তারা দেশীয়ভাবে এসি উৎপাদনে এগিয়ে আসছেন এবং কমছে আমদানিনির্ভরতা। এসি উৎপাদনের প্রয়োজনীয় বেশির ভাগ যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে তৈরি হওয়ায় বর্তমানে এসির মূল্য ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে। তবে এখনো কাঁচামাল ও সংশ্লিষ্ট কিছু পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে। তবে আশা করা যায়, নিকটভবিষ্যতে হয়তো সেটাও কমে যাবে। ভিশন এসিতে ১০০% কপার টিউব, এভাপোরেটর ও কন্ডেনসার তৈরিতে ৭ এমএম কপার টিউব ব্যবহার করা হয়। যে কারণে এসির কর্মক্ষমতা সাধারণ এসি থেকে অনেক বেশি হওয়ায় দ্রুত ঠান্ডা হয়। ভিশন এসিতে টাইটান গোল্ডেন ফিন ব্যবহার করা হয়, যা মরিচা প্রতিরোধী এবং সাধারণ ফিন থেকে ৩০ শতাংশের অধিক হিট ট্রান্সফার রেটসমৃদ্ধ। তাছাড়া ভিশন এসিতে রয়েছে ফায়ার প্রুফ ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল বক্স, যা অনাকাক্সিক্ষত আগুন লাগা প্রতিরোধ করে আপনাকে দেবে বাড়তি সুরক্ষা। ‘ভিশন ডুয়েল ইনভার্টার এসিতে বাড়তি বিদ্যুৎ বিলের কোনো ঝামেলা নেই। কারণ, এ ইনভার্টারের কল্যাণে সারা দিন এসি চালিয়ে রাখলেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ খরচ হয় সীমিত। তাই ‘ভিশন এসি’ ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎসাশ্রয়ী।
আরএন পাল : এখন তীব্র দাবদাহ চলছে আর এ সময়টায় এসির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দেশের মানুষের চাহিদা ও ক্রয়ক্ষমতার কথা চিন্তা করে আমরা চেষ্টা করি দেশের বাজারের উপযোগী এসির মডেল আনতে। এবার গরমকে কেন্দ্র করে আমরা ক্রেতার চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণে নতুন প্রযুক্তির এসি বাজারে এনেছি, যেগুলো অধিক কর্মক্ষম ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। ফলে আমরা আশা করি গত বছরের তুলনায় এ বছর ক্রেতাদের কাছ থেকে আরও ভালো সাড়া পাব।
আরএন পাল : একসময় এসিকে বিলাসী পণ্য বলা হতো। কিন্তু বর্তমানে তীব্র দাবদাহের কারণে এখন এটি প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া আমাদের দেশের মানুষের জীবনযাত্রা মানের উন্নতি আর সামগ্রিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার উন্নতির ফলে এসির ব্যবহার দিনদিন বাড়ছে। এসির দাম কমাতে আমরা দেশেই এখন আমাদের সব এসি ম্যানুফ্যাকচারিং করছি। বর্তমানে আমাদের ভিশন এসির সর্বনিম্ন মূল্য শুরু হয়েছে ৪৭৯০০ টাকা থেকে। আমরা ক্রেতারাদের ইএমআই ও কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের সুবিধা দিয়ে থাকি।
আরএন পাল : অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ভিশন এসি দিচ্ছে ‘মানি ব্যাক গ্যারান্টি’। এক মাস এসি ব্যবহার করে সন্তুষ্ট না হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত। এছাড়াও ইনভার্টার এসিতে ১০ বছরের ওয়ারেন্টিতো আছেই। এসি সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যায় আমরা ২৪/৭ সার্ভিস দিয়ে থাকি। শুধু তাই নয়, ভিশন এসি কিনলে ফ্রি ইনস্টলেশন, ডেলিভারি ও প্রয়োজনীয় অ্যাক্সেসরিজসহ আট হাজার টাকা সমমূল্যের সার্ভিস পাচ্ছেন সম্পূর্ণ ফ্রি।