১৯৯৯ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ। ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এরপর সাত ওয়ানডে বিশ্বকাপের একটিও মিস যায়নি। ২০০৭ সালে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর থেকে নিয়ে এবার পর্যন্ত ৯ আসরের সবকটিতে খেলেছে।
ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে গত ২৫ বছরে ১৬টি বিশ্বকাপ খেলেছে বাংলাদেশ। অথচ এখনো কোনো বিশ্বকাপের শেষ চারের দেখা পায়নি দলটি। অন্যদিকে ২০১০ সালে প্রথম কোনো বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলা আফগানিস্তান ১৪ বছরেই পেয়ে গেছে সেমিফাইনালের দেখা।
১৯৯৯ সালে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কিছু চমক দেখালেও গ্রুপ স্টেজের বৈতরণী পার হতে পারেনি তারা। পরের বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স আরও বেহাল। ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে চমক দেখানো বাংলাদেশ প্রথমবার পায় সুপার এইটের দেখা। ২০১৫ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে আরও একবার শেষ আটে ওঠে বাংলাদেশ। এর আগে পরের অন্য আসরগুলোতে বরাবরই প্রথম পর্বে বেজেছে বিদায়ঘণ্টা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম আসরে উজ্জ্বল ছিল বাংলাদেশ। সেরা আটে জায়গা করে নিয়ে এই ফরম্যাটে দারুণ কিছুর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সাকিব আল হাসানরা। তবে সে আশায় গুঁড়েবালি। পরের আসর থেকে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরে যে ব্যর্থতার ধারা চলেছিল, তা এবার কিছুটা প্রশম হয়েছে। প্রায় ১৭ বছর পর চলতি বিশ্বকাপে আবার সুপার এইটের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে আফগানিস্তান ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনবার অংশ নিয়ে তিনবারই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চমক দেখিয়েছে। সুপার ১০ এবং সুপার ১২-এ নিয়মিত খেলেছে তারা। আর এবার তো সেমিফাইনালেই জায়গা করে নিয়েছেন রশিদ খানরা।
বোর্ডের সময়োপযোগী পরিকল্পনা, সদিচ্ছা আর ক্রিকেটারদের মাঠে দায়িত্ববোধ এবং নিজেদের নিংড়ে দেওয়ার মনোভাব এতদূর নিয়ে এসেছে আফগানিস্তানকে। এর ঠিক উল্টো ধারায় চলছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। ফাঁকা বুলি, অদূরদর্শী পরিকল্পনা আর বছরের পর বছর ব্যর্থ ক্রিকেটারদের বয়ে বেড়ানোর মাশুল দিচ্ছে বাংলাদেশ।