
চৌধুরী নজিব: কোন কাজ ছোট নয়। যে কোন কাজের গুরুত্ব রয়েছে। তাই প্রতিটি কাজকে বড় করে দেখা উচিৎ তাহলে জীবনে সফলতা আসবে। বন্দর নগর চট্টগ্রামে অবস্থিত পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এসব কথা বলেন।অর্থাৎ তিনি
বলেন-ছোট সে হয়, যে কাজকে ছোট ভেবে অহেতুক বিদ্রুপ করে। তাত্ত্বিক জ্ঞানকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে হলে ব্যবহারিক শিক্ষার প্রয়োজন অনেক। উৎপাদনের সাথে উচ্চশিক্ষার সমন্বয় করতে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক শিক্ষার প্রতি মনযোগী হতে হবে।তিনি আরো বলেন, আমাদের সবার মধ্যে একটা উপলব্ধি খুব কাজ করে, তা হচ্ছে গ্রেজুয়েশন সম্পন্ন হলে আমরা চাকরি
করবো। চাকরি ছাড়া আর কিছু করার কথা আমরা ভাবতেও পারি না। এটা ভুল ধারনা। আমাদের এই আসক্তি ও চিন্তা ভাবনা থেকে বের হয়ে ব্যবহারিক শিক্ষার প্রতি যত্নবান হতে হবে। মনে রাখতে হবে উৎপাদনের সাথে যখন উচ্চশিক্ষা যুক্ত হয় তখন একটা বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান তৈরি হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তখন একটি উৎপাদনশীল রােষ্ট্র পরিণত হয় কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি
পায়। বাংলাদেশে এখন উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, দেশকে দ্রুত উৎপাদনশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে আপনাদের এগিয়ে আস্তে হবে।পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সক্ষমতা বেড়েছে। রাজনৈতিক মতাদর্শ আর সামাজিক পরিচয় ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে সর্বোচ্চ দায়িত্ব নিতে হবে।রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল ১১ টায় নগরীর পাঁচলাইশে
অবস্থিত ‘দি কিং অব চিটাগাং ‘কমিউনিটি হলে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এম.পি। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ইমিরেটাস ড.এ কে আজাদ চৌধুরী, ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান,বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন উক্ত বিশ্বববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা
ও পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এম.পি। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিজ সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রিত উপাচার্য প্রমুখ। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশকৃত মোট ২ হাজার ৮৮ জন শিক্ষার্থীকে স্নানক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর সনদ প্রধান করা হয়। তন্মধ্যে ৭ জন শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণ পদক ও ১২ জনকে
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্বর্ণ পদক ভূষিত করা হয়।উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন লাভ করে। ২০১৩ সালের ১৭ মে মাত্র ৬ জন শিক্ষক, ৪ জন কর্মকর্তা ও ১ জন কর্মচারি এবং ছয়টি পোগ্রামে ৬৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এ বিশ্বিবদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে
বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ ও খণ্ডকালীন শিক্ষকের সংখ্যা ১৭০ জন, শিক্ষার্থীয় সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার ৫শ’ জন, কর্মকর্তা-কর্মচারির সংখ্যা ১৯০ জন। বর্তমানে ৩টি অনুষদের অধীনে ১০ বিভাগের ১৩টি পোগ্রাম নিয়ে এর শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।