
শিশুদের জন্য ইউটিউবের বিকল্প বেবিটিউব সন্তান চাওয়া মাত্রই আমরা মোবাইল তাদের হাতে দিয়ে দেই। তারাও তাতে দেখছে ভিডিও। বিভিন্ন কার্টুনসহ নানান ভিডিও। কিন্তু এ ব্যাপারে অভিভাবকরা সচেতন কতটুকু? কি দেখছে বাচ্চা? খেয়াল রাখা সম্ভব কি? সম্ভব হলেও কতটুকু খেয়াল করছি! প্রযুক্তির ব্যবহারে সারাক্ষণ বসে থেকে পাহারা দেয়া সম্ভব নয়। আর তাই প্রয়োজন এমন কিছু পদক্ষেপ যা শিশু-কিশোরদের হাতে নিশ্চিন্তে মোবাইল এবং ডিজিটাল ডিভাইসগুলো দেয়া যায়।তাই বাংলাদেশের কয়েকজন শিক্ষার্থী তৈরি করেছে ইউটিউবের মতো একটি অ্যাপ।
যার নাম বেবিটিউব। যেকোনো বয়সের যে কেউ এই সাইটে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। তবে বেবিটিউবে শিশুদের বিকাশের পথে বাধাগ্রস্ত, এমন কোনো ভিডিও দেয়া যাবে না। এর কারণ হচ্ছে, প্রতিটি শিশু নিরাপদে ইন্টারনেটের আওতায় থাকতে পারে এবং অভিভাবকরাও যেনো হতে পারেন নিশ্চিন্ত।সে কারণেই বেবিটিউবে শিশু-কিশোরদের জন্য ক্ষতিকারক ভিডিও থাকবে না। এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমের অনুমোদনের পরই স্বল্প সময়ের মধ্যে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ভিডিওটি আপলোড করা হবে।
শিশুদের জন্য ইউটিউবের বিকল্প বেবিটিউব সব ক্যাটাগরির ভিডিও আপলোড করা যাবে। যেমন,- খেলাধুলা, কার্টুন, পড়াশোনা, মুভি, নাটক, গেম, গান, গজল, ট্রাভেল, ব্লগ, টেকনোলজিসহ শিশু-কিশোর নির্ভর সব ধরনের ক্যাটাগরিতে ভিডিও আপ করা যাবে।তবে সেগুলো হতে হবে শিশুদের জন্য পজিটিভ ও মজাদার। বেবিটিউবের চেয়ারম্যান সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, আজকের শিশু-কিশোররা মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার বান্ধব। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় সব শিশু-কিশোররা মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে বেশ আগ্রহী।
আর তাই অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা তাদের সন্তান যেনো কোনোভাবেই খারাপ কিছুতে জড়িয়ে না যায়? তাদের দুশ্চিন্তার অবসান ঘটাতেই বেবিটিউবের উদ্যোগ।কখন বেবিটিউব এর ধারণা এলো জানতে চাইলে বেবিটিউবের প্রতিষ্ঠাতা শামীম আশরাফ বলেন, আমি যখন ‘মেন্টর মশাই’ নিয়ে কাজ করি তখন দেখলাম শিশু-কিশোররা ইন্টারনেট প্রচুর ব্যবহার করছে। ব্যবহারের মাত্রা দিনদিন বাড়ছে।আমার পরিবারেও একই অবস্থা। মেন্টর মশাই সংগঠনের মাধ্যমে আমরা সচেতনতামূলক কাজ করে থাকি।শিশুদের জন্য ইউটিউবের বিকল্প বেবিটিউব কাজ করতে গিয়ে লক্ষ্য করলাম শিশু-কিশোররা ভিডিও দেখে বেশি।
সেখান থেকে ভাবনা আসে তাহলে বাচ্চাদের জন্য আলাদা একটি ভিডিও শেয়ারিং সাইট তৈরি করা যায় কিনা। যা হবে ইউটিউব এর বিকল্প। আর তখন আমি এবং আমার টিম কাজ শুরু করি।আমাদের টিমের সাজ্জাদ পুরো সাইট এবং অ্যাপ সম্পূর্ণ করেন।কে কে যুক্ত আছেন বেবিটিউবে, এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বেবিটিউবের হেড অব পিআর মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘বেবিটিউব একটি ভিডিও শেয়ারিং সাইট। এটি একটি অ্যাপ যেখানে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে আপলোড করা যাবে। শর্ত শুধু একটাই কনটেন্টগুলো হতে হবে শিশু-কিশোর ভিত্তিক।