
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কোন ধরনের অনুমোদন ছাড়াই চট্টগ্রামের চাঁদগাও বাহার সিগনাল্যাল এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কিরণ বড়ুয়ার বিরুদ্ধে।ফটিকছড়ি থানার অন্তর্গত নানুপুর সং পিতা-মৃত অশ্বিনী কুমার বড়ুয়ার ছেলে কিরণ কান্তি বড়ুয়া।চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ করতে চাইলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ প্লান এর প্রয়োজন হয়, সেই সাথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন এবং ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছাড়াই কোন ধরনের আইনের তোয়াক্কা না করে কিরণ বড়ুয়া প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করে চলেছে।
বাহার সিগন্যাল বড়ুয়াপাড়া বি এস খতিয়ান নাম্বার ৪০২৩/ দাগ নাম্বার ৮৭৪৩ জায়গার জায়গার পরিমাণ ৬% ওই জমির পরিমাণের কিরণ বড়ুয়ার অংশ রয়েছে ০.২২৫% নাল জমি।মূলত চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় কোন বহুতল ভবন নির্মাণ করতে জমির প্রয়োজন হয় তিন কাটা অথবা এর চেয়ে বেশি জমি, কিরণ বড়ুয়ার টাকার কাছে সবাইকে হার মানিয়ে তিনি অসাধ্যকে সাধন করে দিলেন। এতো কম জায়গার ওপর বহুতল ভবন নির্মাণ কিভাবে করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএর কর্মকর্তা সার্ভে সৈকত বড়ুয়ার কাছে জানতে চাইলে, তিনি কোন সৎ উত্তর না দিয়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর পরে তার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
বডুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা অপু বড়ুয়া বলেন করোনাভাইরাস যদি পাঁচ বৎসর থাকে তাহলে আমাদের সমস্যাটা কি পাঁচ বছর পর্যন্ত রয়ে যাবে এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি এ কর্মকর্তা।এই ভবন করার আগে এলাকাবাসী বাধা দিয়েছিল এ অল্প জায়গায় বহুতল ভবন না করার জন্য এলাকাবাসীকে সন্ত্রাসের ভয় দেখিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করে পেলে। ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করার আগে এলাকাবাসীকে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, আমার এ ভবন প্রস্তুত করার সময় আশেপাশে কারো ক্ষতি হলে সে ক্ষতি আমি পুষিয়ে দিব।
এমন আশ্বাসে এলাকাবাসী আর কোন বাঁধা দেননি ভবন নির্মাণে, পরবর্তীতে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চলাকালে আশেপাশের টিন সিটের স্থানীয় বাড়িঘরের অনেকের ক্ষয়ক্ষতি হয়।পরে এলাকাবাসীকে দেয়া আশ্বাসে সাড়া দেননি কিরণ বড়ুয়া এলাকাবাসী তাকে বারবার ফোন করলেও তিনি কারো ফোন রিসিভ করেন না।মূলত কিরণ বড়ুয়া বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় তাকে সবাই টাকার কুমির হিসেবে চিনে বড়ুয়াপাড়া এলাকায়।
চলবে।