
নিউজ ডেস্ক:
কী বলেন ভাই, মাত্র ২৫ হাজার টাকা। একটু আগেই তো এক কাস্টমার ৩৫ হাজার টাকা মুলাইয়া গেছে, দেই নাই। ছাগলটা দেখছেননি, হাটে অহন যে কয়টা গরু আছে হেই গরুর অনেক কয়েকটার চাইতে ওজন ও মাংস বেশি অইবো, কম অইবো না। নিতে চাইলে এক দাম ৪০ হাজার টাকা।’পবিত্র ঈদুল আজহার আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার পড়ন্ত বেলায় রাজধানীর রহমতগঞ্জ ক্লাব মাঠে কোরবানির পশুর ভাঙা হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যকার এ কথোপকথন শুনতে পাওয়া যায়।
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রহমতগঞ্জ ক্লাব মাঠে কোরবানির পশুর হাট ভেঙেছে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই (৩০ জুলাই)। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে হাটে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে একে একে গরুশূন্য হয়ে পড়ে।আজ শুক্রবার সকালে ক্রেতারা যখন ক্লাব মাঠে প্রবেশ করেন তখন দেখেন ভাঙা হাট। খুবই স্বল্প সংখ্যক গরু রয়েছে কিন্তু ক্রেতা অসংখ্য। বেলা যত গড়াতে থাকে পশুর সংখ্যা আরও কমতে থাকে। রহমতগঞ্জ ক্লাব মাঠে পশু নেই- এ সংবাদ শুনে আশপাশের এলাকার বাড়িঘরে শখ করে পালা গরু-ছাগল নিয়ে অনেকেই উপস্থিত হন।
তাদেরই একজন ৭৬ কেজি (প্রায় দুই মণ) ওজনের রামছাগল যুবরাজের মালিক মোঃ সেলিম মিয়া। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, ‘শখ কইরা কয়েকটা রামছাগল পালছিলাম। রাজধানীর বিভিন্ন হাটে গরু-ছাগলের সরবরাহ নাই শুনে ছাগলগুলো বিক্রি করতে এসেছি।’তবে একটু বেশি অঙ্কের টাকা লাভেই এগুলো বিক্রি করতে চান বলে জানালেন। রহমতগঞ্জ ক্লাব মাঠে ভাঙা হাটে আগত অনেকেই এ ছাগলটিকে দেখতে ভিড় জমান।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত হাটগুলোতে গরুর সরবরাহ কমে যাওয়ায় এবং দুই-তিন দিন আগের তুলনায় দাম কমে যাওয়ায় নগর বাসিন্দারা গরুর বদলে ছাগল কিনতে ছোটেন। তবে এদিন ছাগলের দামও বেড়ে যায়। একটু পছন্দসই ছাগলের দাম ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা হাঁকা হয়। বেশি চাহিদা থাকায় ক্রেতাদের পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দামের ছাগল কিনতে দেখা যায়।